বেটা
ইব্রাহিম রাইসি
২০২১ সালের ইরানের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ইব্রাহিম রাইসিকে (৬৩) দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হিসেবে মনে করা হতো।
গতকাল রোববার আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে।
হেলিকপ্টারটিতে তার সঙ্গে থাকা ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাও ছিলেন। তাদের পরিণতির বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। দুর্ঘটনা কবলিত হেলিকপ্টারের সন্ধানে তৎপরতা চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
আরও পড়ুন: ইরানের প্রেসিডেন্ট আর নেই
দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যু হলে তা হবে ইরানের জন্য বড় একটি ধাক্কা। দীর্ঘ দিন ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক চলে আসছে ইরানের। ইব্রাহিম রাইসি ক্ষমতায় আসার পর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলায় প্রতিবেশীদের পাশাপাশি চীন-রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছিলেন।
একনজরে ইব্রাহিম রাইসি
১৯৬০ সালে উত্তর-পূর্ব ইরানের ‘পবিত্র’ শহর মাশহাদে ইব্রাহিম রাইসির জন্ম। মাত্র ২০ বছর বয়সে তেহরানের পার্শ্ববর্তী শহর কারাজের প্রসিকিউটর-জেনারেল নিযুক্ত হন তিনি।
১৯৮৯-১৯৯৪ সাল পর্যন্ত রাইসি তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সাল থেকে এক দশক জুডিশিয়াল অথোরিটির উপ-প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।
কট্টরপন্থী হিসেবে পরিচিত রাইসি পরবর্তীতে ৮৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ সভার উপ-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা নির্বাচনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এই সভা।
২০২১ সালে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন করে ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ইব্রাহিম রাইসি।
-20241121105543.jpg)
-20241027115010.png)
-20241114092417.jpg)
