ক্ষমতা আমার কাছে কোনো ভোগের সুযোগ নয়; মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের সুযোগ: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ২১, ২০২৪, ১২:৫১ পিএম

ক্ষমতা আমার কাছে কোনো ভোগের সুযোগ নয়; মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের সুযোগ: প্রধানমন্ত্রী

সংগৃহীত ছবি

‘বাংলাদেশের মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এজন্য কৃতজ্ঞ যে, টানা চারবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছি। ক্ষমতা আমার কাছে কোনো ভোগের সুযোগ নয়। আমার কাছে এটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের একটি সুযোগ, মানুষের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ, মানুষকে সেবা দেওয়ার সুযোগ।’

রবিবার (২১ জানুয়ারি) ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে উদ্বোধন অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

প্রতি বছর নতুন বছরের শুরুতেই বাণিজ্য মেলা হলেও এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে তারিখ পিছিয়ে আয়োজন করা হয়েছে।

মেলার ঘিরে মূল ফটকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় প্রতিকৃতি নির্মাণ করা হয়েছে। ফটকটি চট্টগ্রামে চালু হওয়া বঙ্গবন্ধু টানেলের আদলে নির্মাণ করা হয়েছে। মেলার মূল প্যাভিলিয়ন বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির আদলে তৈরি করা হয়েছে।

দেশি-বিদেশি পণ্য প্রদর্শনীর সবচেয়ে বড় আসরটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো। মেলায় বিদেশি কোম্পানির ১৬-১৮টি প্যাভিলিয়নসহ ৩৫১টি স্টল রয়েছে।

মাসব্যাপী এই মেলায় গতবারের চেয়ে বেড়েছে স্টলসংখ্যা। বিক্রিও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করছেন আয়োজকরা। মেলার স্থায়ী এই প্রাঙ্গণে তৃতীয়বারের মতো বসছে দেশ-বিদেশের ক্রেতা-ব্যবসায়ীদের মিলনমেলা।

গতবারের তুলনায় এবার প্রবেশমূল্য বেড়েছে। সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা ও ১২ বছরের কম বয়সীদের জন্য ২৫ টাকা টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে। যা গত বছর ছিল যথাক্রমে ৪০ ও ২০ টাকা।

মেলা সকাল ১০টায় খোলা হবে এবং সপ্তাহের দিনগুলোতে রাত ৯টায় বন্ধ হবে। সপ্তাহান্তে ছুটির দিনে দর্শনার্থীরা রাত ১০টা পর্যন্ত মেলায় থাকতে পারবেন।

মেলায় যাতায়াতের সুবিধার্থে ফার্মগেট থেকে মেট্রোরেল এবং এলিভেট এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযোগের জন্য বাস পাওয়া যাবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এ মেলা হতো শেরেবাংলা নগরে। কোভিড মহামারির কারণে ২০২১ সালে মেলা করা যায়নি। এরপর মহামারির বিধিনিষেধের মধ্যে ২০২২ সালে প্রথমবার মেলা চলে যায় পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি)।

দেশীয় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, হংকং, ইরান, ভারত ও পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ীরা মেলায় নিজেদের পণ্য বিক্রি করবেন। পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশীয় পণ্য রপ্তানির বড় বাজার খোঁজার লক্ষ্য রয়েছে। 

গত বছর মেলায় প্রায় ১০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি ৩০০ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানির অর্ডার পেয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। গত বছর ৩০ থেকে ৩৫ লাখ দর্শনার্থী উপস্থিত হয়েছিলেন বলে জানান আয়োজকরা। তারা আশা করছেন এবার আরও বেশি দর্শনার্থীরা আসবেন এবং কেনাবেচাও গতবারের তুলনায় বেশি হবে।

Link copied!