আইএমএফের কাছে শুরুতে ‘দেড়শো কোটি ডলার’ ঋণ চায় বাংলাদেশ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ৯, ২০২২, ১১:২১ পিএম

আইএমএফের কাছে শুরুতে ‘দেড়শো কোটি ডলার’ ঋণ চায় বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম দফায় বাংলাদেশ দেড় বিলিয়ন ডলার ঋণ চায় বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রীর বরাত দিয়ে লন্ডনভিত্তিক ফিনানশিয়াল টাইম ‘র প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। 

ফিনানশিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলা এবং বাজেট ঘাটতি পূরণে সব মিলিয়ে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চায় সরকার। তবে অর্থের ওই পরিমাণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি, সেজন্য আলোচনা চলছে।

অর্থমন্ত্রী সা্ক্ষাতকারে আরও বলেন, আইএমএফ ছাড়াও  বিশ্ব ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার কাছ থেকে বাংলাদেশ আরও ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিতে চায়। সরকার ঋন পাওয়ার  ব্যাপারে আশাবাদী বলে েতিনি জানান।

ফিনানশিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, করোনাভাইরাস মহামারীর ধাক্কার পর রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের জেরে খাবার ও জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববাজার এখন টালমাটাল। সঙ্কট সামাল দিতে অনেক দেশই আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার চেষ্টায় আছে।

অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলায় শ্রীলংকা ও পাকিস্তানও আইএমএফের কাছে জরুরি তহবিল চেয়েছে। পাকিস্তান তাদের চলমান ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচির পাশাপাশি আরও একশো ৩০ কোটি ডলার ধার করার বিষয়ে প্রাথমিক ঐকমত্যে পৌঁছেছে। শ্রীলংকা এখনও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ কমাতে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ায় দেশজুড়ে ফিরে এসেছে বিদ্যুতের লোড শেডিং। জ্বালানি তেলের দাম এক ধাক্কায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

ফিনানশিয়াল টাইমসকে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, “সবাইকে এখন ভুগতে হচ্ছে, আমরাও চাপের মধ্যে আছি।”

শ্রীলংকার মত ঋণখেলাপি হওয়ার ঝুঁকি বাংলাদেশের নেই মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, “ওই রকম পরিস্থিতি হবে, সেটা ভাবারও কোনো কারণ নেই।” এসয় তিনি চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “যেসব প্রকল্প ওই ঋণে নেওয়া হয়েছে, তার অনেকগুলো থেকেই প্রত্যাশা অনুযায়ী অর্থ উঠে আসছে না। তাতে ঊর্ধমুখী মূ্ল্যস্ফীতি আর অর্থনীতির স্লথগতির এই সময়ে উদীয়মান দেশগুলো আরও বেশি আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।”

কোনো দেশ যাতে শ্রীলংকার মত পরিস্থিতি বরণ করতে না হয় তার জন্য  অর্থায়নের আগে চীনের আরও ভালোভাবে প্রকল্প মূল্যায়ন করা প্রয়োজন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

Link copied!