আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবর ১৭, ২০২১, ০৩:১৪ পিএম

আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত এক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।শনিবার (১৬ অক্টোবর) রাত ১২টার পর উপজেলার চিৎমরম ইউনিয়নে এ হত্যার ঘটনা ঘেটে।

নিহত নেথোয়াই মারমা (৫৬) চিৎমরম ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন তিনি।

কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোণা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী ঘটনার সত্যতা দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে নিশ্চিত করেছেন।

কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অংসুচাইন চৌধুরী এবং রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছেন।

হত্যাকাণ্ডর পর রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অংসুচাইন চৌধুরী গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি (নেথোয়াই মারমা) এতদিন উপজেলা রেস্টহাউজে ছিলেন। আজই (শনিবার) মনোনয়ন জমা দিয়ে চিৎমরমে এলাকায় গিয়েছিলো নেতাকর্মী ও স্বজনদের সাথে দেখা করতে। রাতে তার নিজ বাড়িতে জেএসএস এর একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী এসে গুলি করে হত্যা করে গেছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

অংসুচাইন চৌধুরী আরও জানান, এর আগে চিৎমরমে দুইজন যুবলীগ নেতাকে হত্যার ঘটনার পর সে (নেথোয়াই) উপজেলা সদরে রেস্টহাউজেই বসবাস করতো। গতকালই মনোনয়ন জমা দিয়ে বাড়িতে গেছে পরিবারের সাথে পরামর্শ করতে। কিন্তু রাত বারোটার পরে তারা আগাপাড়া এলাকার বাসায় প্রায় ১৪/১৫ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাসার দরজা ভেঙে প্রবেশ করে তাকে গুলি করে হত্যা করে ফেলে যায়।’

কাপ্তাই এর চন্দ্রঘোণা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, শনিবার রাত ১২ টার দিকে একদল সন্ত্রাসী নেথোয়াই মারমাকে গুলি করে। তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত নেথোয়াই চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদ শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং দলীয় প্রার্থী হিসেবে ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন।

কারা গুলি চালিয়ে হত্যা করতে পারে-এমন প্রশ্নের জবাবে চন্দ্রঘোণা থানার ওসি আরও বলেন, এখানে পাহাড়ীদের মধ্যে দলীয় মতপার্থক্যের কারণে প্রায়ই গোলাগুলি হয়। সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জে. এস. এস) এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে বলে আমরা অনুমান করছি। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারাও জেএসএসকে এ ঘটনার জন্য দায়ি করছে।

তিনি আরও বলেন, মরদেহের ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়েরের  প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।

Link copied!