আসছে নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হবে, মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বললেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

অক্টোবর ১৪, ২০২২, ০৬:৩০ এএম

আসছে নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হবে, মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বললেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হবে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি আর শেরম্যানকে আশ্বস্ত করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ অফিসে ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি আর শেরম্যানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি একথা বলেন। বৈঠক শেষে সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম তথ্য জানান।

বৈঠকে  উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হবে এমনটি প্রত্যাশা করলে জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আমি বলেছি, নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হবে। কিন্তু নির্বাচনে কে আসবে বা আসবে না সেটি দল রাজনৈতিক ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যে রাজনৈতিক দলগুলোর চালিকা শক্তি সঠিক নেতৃত্ব নেই, জনগণের কাছে সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারে না। তাদের বিষয়ে বাংলাদেশ কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারবে না।

ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগের নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন কমিশন গঠনকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সব স্টেকহোল্ডারদের আমন্ত্রণ জানান। একটি সার্চ কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ প্রাপ্ত হন। কিন্তু প্রক্রিয়ায় কিছু দল বা ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেনি। আমি পরিষ্কারভাবে বলেছি, আসন্ন নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হবে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও  বলেন, আমরা সম্মানজনকভাবে সবকিছু তাদের অবহিত করি। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কেউ মুক্তহস্তে হস্তক্ষেপ করবে। আমি সংবাদ সম্মেলনে আবারও বলছি, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) কতটুকু বলবেন এটি তাদের দেশে অবস্থানরত অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূতরা যতটুকু করতে পারেন, দয়া করে তার বাইরে যেন না যান। ওইসব রাষ্ট্রে আমাদের রাষ্ট্রদূতরা তেমন কিছুই বলতে পারেন না। আমরা অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূতদের অতিথিপরায়ণ ভেবে সব মন্ত্রণালয় বিভাগের দরজাগুলো খোলা রাখি, এটির যেন অপব্যবহার না করেন। যদি করেন তাহলে আমাদের অন্য কিছু ভাবতে হবে।

বিএনপির মতো বড় দল নির্বাচনে না আসলেও নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা কেমন হবেসাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার বলেন, গ্রহণযোগ্যতা ২০১৪ সালের নির্বাচন ছিল, সামনের দিনগুলোতেও থাকবে। 

জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের সদস্য পদে বাংলাদেশের জয়লাভকেঐতিহাসিকউল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৮৯টি ভোটের মধ্যে বাংলাদেশ ১৬০টি ভোট পেয়ে ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছে। সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে দেশে বিদেশে অপপ্রচার যে মিথ্যা এটি প্রমাণ হয়েছে। 

 

ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন উপপররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়েন্ডি আর শেরম্যানের সঙ্গে বৈঠক করার বিষয়টি উল্লেখ করে ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, এলডিসি উত্তরণে বাংলাদেশের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছি। আমি ্যাব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা যত দ্রুত তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃতি খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে দ্রুত ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে।"

Link copied!