এক দিনের সুইডিশ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশি রুনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবর ১২, ২০২১, ০২:৩৫ এএম

এক দিনের সুইডিশ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশি রুনা

বিশ্বের সকল স্তরের কিশোরী ও যুবনারীদের জন্য সমান সুযোগ চান একদিনের সুইডিশ রাষ্ট্রদূত রুনা।সোমবার (১১ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে রুনাকে এক দিনের জন্য প্রতীকী রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত করে সুইডেনের দূতাবাস।

কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবক রুনা ধলপুরে শিশু ও নারী অধিকার নিয়ে কাজ করছে। সে কমিউনিটির শিশুদের শিক্ষা এবং কিশোরী ও যুব নারীদের অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধেও কাজ করেন।

তার পদে এক দিনের জন্য রুনাকে নিযুক্ত করার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্স বার্গ ফন লিন্ডে গণমাধ্যমকে বলেন, আজ আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দূতাবাস জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে বলে এ দিনে জেন্ডার সমতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। মেয়েদের এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কারণ, একটি মেয়ের মধ্যে যে সম্ভাবনা থাকে, তা কাজে লাগাতে গিয়ে সে নানা বাধার সম্মুখীন হয়। এ বছরের আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসটির কথা।

রুনা আজ রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর কী করলেন, তা জানতে চাইলে সুইডিশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা দূতাবাসে আজ সকাল শুরু করেছি তার সঙ্গে বৈঠক করার মধ্য দিয়ে। আমার টুইটার ও ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ ছিল আজ তার হাতে।’

শিশুনীতি অনুসরণ করে রুনার পুরো নাম ও পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি এবং তার সঙ্গে গণমাধ্যমের কথা বলার সুযোগ রাখা হয়নি।

এদিকে আজ সুইডেনের দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস ২০২১ উপলক্ষে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ আয়োজিত এই পদ গ্রহণ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাটির ‘গার্লস টেকওভার’ নামক এক বিশেষ বৈশ্বিক কর্মসূচির অংশ। প্রতিবছর বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ‘মেয়ে আমি সমানে সমান’ ক্যাম্পেইনের আওতায় এই আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো কিশোরী ও যুব নারীদের সক্ষমতা তৈরি এবং নেতৃত্ব বিকাশে বিশ্বব্যাপী আওয়াজ তোলা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, এ পদে প্রতীকী দায়িত্ব পালন নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে রুনা বলেছেন, ‘আমাদের কমিউনিটিতে মেয়েরা অধিকাংশ সময়ই বুঝতে পারে না তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বিকাশের মাধ্যমে তারা কত দূর পৌঁছাতে সক্ষম। তারাও পারে নেতৃত্ব পর্যায়ে পৌঁছে সমাজে পরিবর্তন আনতে।’

জেন্ডার সমতা, নারী ও মানবাধিকার প্রচারের লক্ষ্যে সুইডেনের নারীবাদী কূটনৈতিক নীতিমালা অনুযায়ী দেশটির বাংলাদেশে অবস্থিত দূতাবাস এই গার্লস টেকওভার কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

Link copied!