কাউন্টারে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ৯, ২০২১, ০৭:৩৪ পিএম

কাউন্টারে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু

করোনাভাইরাস মোকবিলায় চলমান বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় আগামী ১১ আগস্ট থেকে সব আসনে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।একারণে সোমবার (৯ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন রেলস্টেশনে ট্রেনের টিকিট কাউন্টার থেকে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।

আন্তঃনগর ট্রেনের অর্ধেক টিকিট অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপে বিক্রি করা হবে। অবশিষ্ট অর্ধেক টিকিট কাউন্টার বিক্রি হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, আগামী বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে ৩৮ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন ও ২০ জোড়া মেইল এক্সপ্রেস ও কমিউটার ট্রেন বিভিন্ন রুটে চলাচল করবে। তবে ঢাকা থেকে ৭০৫ একতা এক্সপ্রেস, ৭২৬ সুন্দরবন এক্সপ্রেস, ৭৬৫ নীলসাগর এক্সপ্রেস, ৭৭১ রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন এবং গোবরা থেকে ৭৮৩ টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছাড়বে না।

কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার গণমাধ্যমে বলেন, ট্রেনের টিকিট ৫০ শতাংশ কাউন্টারে ও ৫০ শতাংশ অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে। কাউন্টারে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে এদিকে,করোনা সংক্রমণরোধে যাত্রীদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

রেলওয়ের নির্দেশনা:

১.আগের নির্ধারিত ভাড়ায় যাত্রার পাঁচদিন আগে অগ্রিম টিকিট কিনতে পারবেন।

২.  অনলাইনে কেনা টিকিট ফেরত দেওয়া যাবে না।

৩. কমিউটার ট্রেনের টিকিট যথারীতি নির্দিষ্ট বক্স কাউন্টার থেকে দেওয়া হবে। আসনবিহীন টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকবে।

৪. টিকিটবিহীন কোনো যাত্রী স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন না।

৫.সকল যাত্রীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্টেশনে প্রবেশ করতে হবে। অন্যথায় তাকে ট্রেনে ভ্রমণ করতে দেওয়া হবে না।

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ মোকাবিলায় গত এক জুলাই থেকে দুই দফায় ১৪ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। ঈদ উল আজহা উপলক্ষ্যে ৮ দিন বিরতির পর আবারো ১৪ দিনের লকডাউন দেয়া হয় এবং তা আরো ৫ দিন বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়।

রবিবার (৮ অঅগস্ট) দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিধিনিষেধ শিথিল হবে ১১ আগস্ট বুধবার থেকে। এদিন থেকে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস খোলা থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে যা বলা হয়েছে:

১. সকল সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্বশাসিত/বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক খোলা থাকবে;

২. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতসমূহের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে;

৩.সড়ক, রেল ও নৌপথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন/যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়কপথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকার বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী, সংশ্লিষ্ট দপ্তর/সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে;

৪. শপিংমল/মার্কেট/দোকানপাটসমূহ সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত  স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক খোলা থাকবে;

৫. সকল প্রকার শিল্প-কলকারখানা চালু থাকবে;

৬.খাবারের দোকান,হোটেল-রেস্তোঁরায় অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে;

৭. সকল ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে; এবং

৮. গণপরিবহণ, বিভিন্ন দপ্তর, মার্কেট ও বাজারসহ যেকেনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Link copied!