কেউ নয়, আমার মস্তিষ্কই আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী

নিজস্ব প্রতিবেদক

মে ১১, ২০২২, ০৮:৫১ এএম

কেউ নয়, আমার মস্তিষ্কই আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ রফিক-জব্বার হলের ছাদ থেকে পড়ে নিহত শিক্ষার্থী অমিত কুমার বিশ্বাসের কক্ষে সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। এছাড়াও তার পড়ার টেবিলে সুইসাইড বিষয়ক আরও কয়েকটি মন্তব্য লেখা দেখা যায়।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তার রুমমেটরা এসে বালিশের নিচে এ সুইসাইড নোট দেখতে পান। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার রুম পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে নোটের বিষয়টি নিশ্চিত করেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সোহেল আহমেদ। প্রাথমিকভাবে তার হাতের লেখার সাথে সুইসাইড নোটের লেখার মিল পাওয়া গেছে বলেও তিনি জানান।

এর আগে, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক-জব্বার হলের ছাদ থেকে পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হন অমিত। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এনাম মেডিকেলে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহত ছাত্র অমিত কুমার বিশ্বাস খুলনার দৌলতপুর থানার অজয় বিশ্বাসের ছেলে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫তম ব্যাচের উদ্ভিদ বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন। থাকতেন শিহীদ রফিক জব্বার আবাসিক হলের ৩১৫ নম্বর কক্ষে।

সুইসাইড নোটে লেখা ছিলো, ‘ আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, আমার মস্তিষ্কই আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী। আমি নিজেই নিজের শত্রু হয়ে হয়ে পড়েছি অজান্তেই। নিজের সাথে যুদ্ধ করতে করতে আমি ক্লান্ত। আর না। এবার মুক্তি চাই। প্রিয় মা, বাবা, ছোটবোন সবাই পারলে আমাকে ক্ষমা তরে দিও।–অমিত।’

হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ বলেন, “ প্রথমে ধারণা করেছিলাম বৃষ্টিতে ভিজে পা পিছলে ছাদ থেকে পড়ে অমিতের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পরে তার রুমে পাওয়া সুইসাইড নোট পাওয়ার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে আমরা হতবাক। প্রাথমিকভাকে তার হাতের লেখার সাথে সুইসাইড নোটের লেখার সাথে মিল পেয়েছি। পুলিশ তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। “

Link copied!