খায়রুজ্জামানকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২, ১১:৪০ পিএম

খায়রুজ্জামানকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম খায়রুজ্জামানকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

খায়রুজ্জামানকে ডিপোটেশন সেন্টারে কারান্তরীণ করে রাখা হয়েছে জানিয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন,  “আমি যতদূর বুঝি, আবারও তাকে সশরীরে জিজ্ঞাসাবাদ করার এবং মামলাটিকে খতিয়ে দেখার সুযোগ আছে। সেটা আইন মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে। যত দ্রুত সম্ভব আমরা তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠিতে অভিবাসন সংক্রান্ত একটি আইন ভাঙার কথা জানিয়েছে। এটা দূতাবাস জানে আমার এই মুহূর্তে জানা নেই।”

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “আমরা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের খোঁজতেছি। আমরা জানতাম তিনি মালয়েশিয়ায় আছেন। মালয়েশিয়া থেকে বের হতে পারেননি বা এ রকম কিছু। এ ধরনের অপরাধী বা কথিত শব্দটি যদি ব্যবহার করি, পশ্চিমা বিশ্বের কিছু দেশ যে রকম আশ্রয় দেয়। খুনিদের আশ্রয় দিয়েছে অনেক জায়গায় দেখেছেন। এ রকম সুযোগ মালয়েশিয়ায় নেই।”

তিনি আরও বলেন, “ আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত তাকে ফিরিয়ে আনতে পারবো। তারপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয় মিলে সিদ্ধান্ত নেবে মামলাটির কোন পার্যায়ে তাকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে অথবা মামলাটি কীভাবে পুনরুদ্ধার করা হবে।”

গতকাল বুধবার সকালে মালয়েশিয়ার রাজধানীর আমপাংয়ের নিজ বাসা থেকে খায়রুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে মালয়েশিয়ার পুলিশ।খায়রুজ্জামান মালয়েশিয়ায় শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছিলেন। শরণার্থী হওয়ার আগে তিনি ওই দেশেই হাইকমিশনার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। পরে এ মামলায় খালাস পাওয়ার পর ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৭ সালের আগস্ট পর্যন্ত মিয়ানমারে বাংলোদেশের রাষ্ট্রদূত এবং পরে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে হিসেবে নিয়োগ পান।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর তাকে দেশে ফিরে আসার আদেশ দিলে তিনি ওই দেশে থেকে যান। ‘দেশে ফিরলে তার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে’ উল্লেখ করে জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড সংগ্রহ করে মালিয়েশিয়ায় বসবাস করতে থাকেন।

Link copied!