চিরচেনা রূপে ফিরছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

ডেস্ক রিপোর্ট

আগস্ট ১৯, ২০২১, ০৪:৪৩ পিএম

চিরচেনা রূপে ফিরছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বিধিনিষেধ আরোপের কয়েক মাস পর বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) থেকে শর্ত সাপেক্ষে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। সারাদেশের সব বিনোদন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে আজ থেকে। 

করোনার কারণে প্রায় সাড়ে ৪ মাস ধরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। যার কারণে পর্যটকশূন্য ছিল সৈকত। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) থেকে আবারও  চিরচেনা রূপে ফিরতে যাচ্ছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। বিকেলের মধ্যেই সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি হিমছড়ি, ইনানী, সাবরাং এক্সক্লুসিভ জোন, ন্যাচারপার্ক, বার্মিজ মার্কেট, ডুলহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কসহ অন্যান্য কেন্দ্রগুলোও  প্রাণ চাঞ্চল্যে ভরে উঠবে।  

পর্যটকদের বরণ করে নিতে কক্সবাজার ও আশপাশের হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরোঁগুলো পরিচ্ছন্নতা শেষে উপযোগী করে তোলা হয়েছে। পর্যটকদের সেবা দিতে হোটেল-মোটেল এলাকারে বেশিরভাগ হোটেল ও গেস্ট হাউজের কর্মকর্তা-কর্মচারী এরই মধ্যে কাজে যোগ দিয়েছেন। সমুদ্র সৈকতে অবস্থিত ছোট ছোট দোকান, হকার, শামুক-ঝিনুকের দোকানগুলোও খোলা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

সমুদ্র সৈকতে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলা এবং শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে জেলা প্রশাসন বেশ কিছু শর্ত আরোপ করে দিয়েছে। এমনকি সৈকতে মাস্ক পরিধান থেকে শুরু করে বালুচরের পর্যটন ছাতার দুরত্ব, হোটেল-রেষ্টুরেন্টের টেবিল-চেয়ারের দুরত্ব অবশ্যই তিন ফুটের বেশি রাখারও নির্দেশনা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সাগর পাড়ের বিচ মার্কেট, সৈকতের কিটকট, বিচ বাইক ও জেটস্কি, প্যারাসেইলিংসহ সব কিছুতেই দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, পর্যটকদের নিরাপত্তা ও তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বাধ্য করানোর বিষয়ে জেলা প্রশাসন কঠোর মনিটরিং করবে বলে জানা গেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পর্যটকরা যাতে বিচে অবস্থান করতে পারে এজন্য ব্যাপক প্রচারণার ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন।

কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের এসপি মো. জিল্লুর রহমান গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য প্রস্তুত। আমাদের টিম প্রতিটি পয়েন্টে কাজ করবে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে থাকবে বলেও তিনি জানান।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তার প্রতিরোধে দেশব্যাপী বিধিনিষেধ ও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ চলাকালে চলতি বছরের ১ এপ্রিল বন্ধ ঘোষণা করা হয় দেশের সব পর্যটনকেন্দ্র। প্রায় সাড়ে ৪ মাস পর কক্সবাজারের সব পর্যটনকেন্দ্র খোলা হচ্ছে আজ (১৯ আগস্ট)। গত ১০ আগস্ট থেকে দেশের সব বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলো খুলে দেওয়া  হয়।

Link copied!