জনসমুখে ১ নারীসহ ৪ জনকে কান ধরে ওঠবস করালেন ইউপি চেয়ারম্যান

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ১, ২০২২, ০৪:৫৫ পিএম

জনসমুখে ১ নারীসহ ৪ জনকে কান ধরে ওঠবস করালেন ইউপি চেয়ারম্যান

পঞ্চগড় দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার মল্লিকাদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে এক নারীসহ চারজনকে জনসমক্ষে কান ধরে ওঠবস করানোর অভিযোগ উঠেছে। গত ২৫ এপ্রিল তিনি ওই চার ব্যক্তিকে ধরে এনে 'অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার' অভিযোগ তুলে ইউনিয়ন পরিষদের দোতলার বারান্দায় সবার সামনে কান ধরে ওঠবস করান। পরে এ ঘটনার একটি ভিড়িও ছড়িয়ে পড়ে। ভুক্তভোগিরা বলছেন, এ ঘটনার পর লজ্জায় তারা ঘরের বাইরে যেতে পারছেন না। 

ভুক্তভোগীদের দাবি, ওই নারী গত ২৪ এপ্রিল রংপুর থেকে বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন। বাসে ঘুমিয়ে পড়ায় ওই নারীকে ভবানিগঞ্জ বদলে সোনাহার বাজারে নামিয়ে দেয় বাসচালক। পরে ওই নারী সোনাহার বাজার থেকে নুরু বাজার হয়ে করতোয়া নদী পার হয়ে ঝারবাড়ি যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যার পর নুরু বাজারে নেমে ঘাটে যাওয়ার রাস্তা জিজ্ঞাসা করছিলেন ধনঞ্জয় নামের এক ব্যক্তির কাছে। এ সময় স্থানীয় কয়েক তরুণ তাঁদের আটক করে মারধর করে এবং ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। এ সময় সুরেশ ও রিয়াজুল নামে আরো দুজনকেও ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসা হয়। সারারাত তাঁদের ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রাখা হয়। পরদিন তাঁদের বিরুদ্ধে 'অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার' অভিযোগ তুলে সালিস বসানো হয়। সালিসে জনসমক্ষে তাঁদের কান ধরে ওঠবস করান চেয়ারম্যান। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কোনো অপরাধ না করলেও চেয়ারম্যান তাঁদের অমানবিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, 'চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজন আমাকে লাঞ্ছিত করেছে। আমি কোনো অপরাধ না করলেও সবার সামনে আমাকে কান ধরে ওঠবস করতে বাধ্য করেছে। 

সোনাহার মল্লিকাদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান

সোনাহার মল্লিকাদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ব্যস্ততা দেখিয়ে বলেন, 'আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ব্যস্ত আছি। একটু পরে কথা বলছি। ' পরে তাঁকে বার বার ফোন দিলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম ফেরদৌস বলেন, 'বিষয়টি আমি তৃতীয় পক্ষের কাছে শুনেছি। আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। চেয়ারম্যান কাউকে এভাবে কান ধরিয়ে ওঠবস করাতে পারেন না। চেয়ারম্যানকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।'

Link copied!