মে ১৯, ২০২৪, ০৩:৩৭ পিএম
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লড়াইয়ের গল্প গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অঙ্গীকার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
রোববার (১৯ মে) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার লড়াইয়ের ইতিহাস, ত্যাগের ইতিহাস। প্রতিকূল পরিবেশে লড়াই করে বিজয়ী হওয়ার ইতিহাস গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। তা না হলে আমরা সবাই একসঙ্গে ব্যর্থ হয়ে যাবো। আমরা অঙ্গীকার করতে চাই শুধু বাংলাদেশে নয়, শুধু আমাদের আগামী প্রজন্মের কাছে নয়, গোটা বিশ্বের কাছে বঙ্গবন্ধু কন্যার লড়াইয়ের গল্প আমরা তুলে ধরবো। আবারও জাগরণের গল্প আমরা তুলে ধরবো।”
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ না করে, অন্যায়ের কাছে পরাজিত না হয়ে, অন্যায়কে মোকাবিলা করে শত প্রতিকূলতার মধ্যে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার যে লড়াই, সেই লড়াইয়ের শিক্ষা শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু কন্যার জীবনে বাস্তবে যে ঘটনাগুলো ঘটে গেছে সেটা ফিকশনকেও হার মানায়, গল্পকেও হার মানায়। বঙ্গবন্ধু কন্যার জীবনে লড়াইয়ের, সংগ্রামের, অন্যায়ের প্রতিবাদের ও লড়াই করে অন্যায়কে পরাজিত করে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার যে গল্প, সে গল্প গোটা বিশ্বের সব শিশুদের কাছে আমাদের পৌঁছে দেওয়া উচিত। সেই জয়ের গল্প শুরু হয়েছে ১৯৮১ সালের ১৭ মে। দিনটি আমাদের গোটা দেশ জুড়ে উদযাপন করা উচিত। সব স্কুলে-কলেজে, সব শিশু ও আগামী প্রজন্মের সবাইকে নিয়ে দিনটি উদযাপন করা উচিত। যাতে সবাই জানতে পারে এটা শুধু গল্প নয়, এটা ফিকশন নয়, এটা সত্য।”
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ এমপির সভাপতিত্বে ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও মির্জা আজমসহ আরও অনেকে।