আমাদের সবারই বিকল্প আছে কিন্তু বাংলদেশে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।
রোববার (১৯ মে) বিকেল তিনটায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শোভাযাত্রার প্রাক্কালে এ কথা বলেন তিনি। ‘শেখ হাসিনা: দুর্গম পথের নির্ভীক যাত্রী’ শীর্ষক ওই শোভাযাত্রা বঙ্গবন্ধুর বাসভবন ধানমন্ডি-৩২-এ এসে শেষ হয়।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, “৪৪ বছর আগে জননেত্রী শেখ হাসিনা এই বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলে আমরা পেয়েছি উন্নয়ন, আমরা পেয়েছি ভোটাধিকার, মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। আপনারা সেই দিন কি পরিস্থিতিতে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। পরিবারের ১৮ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যার পরেও তিনি এদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের ও মৌলিক অধিকারগুলো উদ্ধারে জীবনের সব হুমকি ও মায়াকে তুচ্ছ করে আপনাদের কাছে উপস্থিত হয়েছেন। সেই বঙ্গবন্ধুরই রক্তের উত্তরাধিকার হিসেবে গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে ও এদেশের মানুষের উন্নয়নের বাহক হিসেবে সেদিন বাংলার মাটিতে উপস্থিত হন তিনি। দৃপ্তকণ্ঠে সেদিন তিনি বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার তিনি করবেন।”
শেখ পরশ বলেন, “বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত না হয়ে বরং একটা ন্যায়পরায়ণ সমাজব্যবস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে। সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারও করেছিলেন তিনি। এটা লক্ষ্যণীয় কোনো সামারি ট্রায়ালে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়নি। সামাজিক ন্যায়বিচার বুকে নিয়ে প্রচলিত আইনেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছিলেন তিনি।”
তিনি আরও বলেন, “যেখানে সামারিক জান্তারা রাতের পর রাত মুক্তিযোদ্ধা সেনাবাহিনীর অফিসারদের হত্যা করেছে, ফাঁসি দিয়েছে সেই প্রেক্ষাপটে জননেত্রী শেখ হাসিনার এই আগমন ছিল অত্যন্ত সাহসী এবং আত্ম-ত্যাগী। সেই আগমনের বার্তা এদেশের লক্ষ লক্ষ নিপীড়িত, শোষিত মানুষকে উজ্জীবিত করেছিল, এদেশের জনগণ আস্তা ফিরে পেয়েছিল, স্বপ্ন দেখেছিল আবারও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার। বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে ৩ বছর সময় পেয়েছিল এদেশের মানুষের খেদমতে, এদেশের মানুষের জন্য একটা জাতি রাষ্ট্র সৃষ্টির মাধ্যমে উন্নয়নমূলক, প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি।”
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, “জননত্রেী শেখ হাসিনা ২১ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে থেকেও তার সেই দৃঢ় প্রত্যয় ধরে রেখে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। যারা যুদ্ধাপরাধীদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিল, মন্ত্রী বানিয়েছিল তিনি সেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছেন। এখনও চলমান আছে। যার ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার ও তাদের সন্তানরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। তা না হলে এই বাংলাদেশকে পশ্চাৎপদ বাংলাদেশ হিসেবে পরিচালিত হতো।”
তিনি আরও বলেন, “আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল বাংলাদেশ হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত। এ জন্য সেই অপশক্তি আবার সক্রিয় হয়েছে। যে অপশক্তির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আপনারা সবাই জানেন, তা হলো মিথ্যাচার, অপপ্রচারের রাজনীতি। সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে পরনির্ভর রাজনীতি। আজ তারা বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভর করে কিন্তু জনগণের ওপর নির্ভর করে না। তারা নির্ভর করে মিস্টার ল্যুদের ওপর যে তাদের হাত ধরে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। এই স্বপ্ন সেই স্বপ্ন আজ ব্যর্থ হয়েছে, ধূলিসাৎ হয়েছে। কারণ জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রয়েছে এদেশের আপামর জনগণ।”