মে ১৯, ২০২৪, ১২:১৩ পিএম
রাজধানীর মিরপুরে কালশী মোড়ে থাকা ট্রাফিক বক্সে আগুন দিয়েছে আন্দোলনরত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যাওয়ার আগেই আগুন নিভে যায়।
রোববার (১৯ মে) বিকেল সোয়া চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার শাহজাহান সরদার। তিনি বলেন, “তারা আগুন লাগার খবর পেয়ে বিকেল চারটা ৩২ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন।”
পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেসুর রহমান বলেন, “কালশীতে আন্দোলনকারীরা সহিংস আন্দোলন করছে। তারা কালশী মোড়ে অবস্থিত একটি পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে। এটি ট্রাফিক পুলিশের একটি বক্স। আমরা ঘটনাস্থলে আছি, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।”
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সির সাব্বির বলেন, “আড়াইটার দিকে একপাশ দিয়ে বাস চলাচল শুরু করলে তিনটি বাস ভাঙচুর করেন অটোরিকশা চালকরা। তবে পুলিশের বাধায় সেখান থেকে সরে যান তারা।”
এর আগে সকাল নয়টা থেকে পল্লবী, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, আগারগাঁও, মিরপুর-২, মিরপুর-১ ও মিরপুর-১৩ শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে যানজটে নাকাল হয়ে পড়ে। সকাল নয়টার দিকে মিরপুর-সাড়ে ১৩ তে পুরবী সিনেমা হলের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় তারা ভাঙচুরও চালায়। এরপর তারা মিরপুর-১০-এর মোড়ে অবস্থান নেয়। সেই থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান নেয় ও মিছিল করে। তাদের কারণে মিরপুর-১০ থেকে ফার্মগেট আসা ও যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এ সড়কে টানা ৫ ঘণ্টারও বেশি যানজট ছিল।
সবশেষ বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে দাঙ্গা পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে মিরপুর-১০ থেকে মিরপুর-২-গামী সড়কের অর্ধ শতাধিক বাসে নির্বিচারে ভাঙচুর চালায়। এ সময় সড়কে থাকা পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে এক সেনাবাহিনীর গাড়ি আটকা পড়লে সেই গাড়ির চালক নিজে বের হয়ে আসেন এবং শ্রমিকদের দমানোর চেষ্টা করেন। তার গায়ে সেনাবাহিনীর পোশাক দেখে পরে শ্রমিকরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। তার প্রতিবাদের মুখে তারা ভাঙচুর বন্ধ করে। প্রায় ২০ মিনিট পরে পুলিশ সদস্যরা মিরপুর-১০ থেকে মিরপুর-২-এর দিকে টহল শুরু করলে সড়ক ছেড়ে চলে যায় তারা। এর মধ্যেই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।