হঠাৎ করে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তিতাস গ্যাসের লাইন থেকে গ্যাস বের হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। সোমবার দিবাগত রাতের বেলা ওই ঘটনার পর থেকে রাজধানীবাসীর মধ্যে আতংক দেখা দেয়। তাতে আতঙ্কিত না হতে রাজধানীবাসীকে পরামর্শ দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এ অবস্থায় চুলা না জ্বালাতে পরামর্শ দিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
তিতাস গ্যাসের কলসেন্টারের এক্সিকিউটিভ রাকিব দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোমবার রাতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে প্রাকৃতিক গ্যাসের ঝাঁঝালো গন্ধ পেয়ে নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে ফায়ার সার্ভিসও পেতে থাকে একের পর এক ফোনকল। এমন পরিস্থিতিতে মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পাতায় মধ্যরাতে এক বিশেষ ঘোষণায় বলা হয়, ঈদে শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায়, সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনে গ্যাসের চাপ বেড়ে (ওভার-ফ্লো) গন্ধ বাইরে আসছে। এ অবস্থায় তিতাসের জরুরি ও টেকনিক্যাল টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হবারও পরামর্শ দিচ্ছে তারা।
এদিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তাঁর ফেসবুক পাতায়ও এই ঘোষণা শেয়ার করে লিখেছেন, নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। ঢাকার গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ঢাকায় গ্যাস বিতরণকারী কোম্পানি তিতাসের পরিচালক (অপারেশন) সেলিম মিয়া সমস্যার কারণ ব্যাখ্যা করে রাতে গণমাধ্যমকে বলেছেন, নরসিংদী থেকে ডেমরা পর্যন্ত গ্যাসের একটি লাইন বন্ধ ছিল। সেই লাইনটা চালুর পর হঠাৎ করে ইম্প্যাক্টটা একটু বেশি পড়েছে। পুরো পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ারও কোনো কারণ নেই। আধা ঘণ্টার মধ্যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
এর আগে রাতে রামপুরা, বনশ্রী, তেজগাঁও, মহাখালী, রাজাবাজার, হাজারীবাগসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্যাসের গন্ধে আতংকিত নগরবাসীর ফোন পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তারা।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলোতে আমাদের টিম পাঠিয়েছি, পাঠাচ্ছি। যারা ফোন করছেন, তারা বলছেন, পাইপলাইন থেকে গ্যাস ‘লিক’ করার পর যে গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকার মসজিদ থেকে মাইকিং করেও ওই সময়ে গ্যাসের চুলা বন্ধ রাখার আহ্বানও জানানো হচ্ছে।