দুই শিশুর অভিভাবকই ডেসপারেট, উল্টো আমরা বিপদে আছি: আপিল বিভাগ

আদালত প্রতিবেদক

মার্চ ৯, ২০২৩, ১০:০৫ পিএম

দুই শিশুর অভিভাবকই ডেসপারেট, উল্টো আমরা বিপদে আছি: আপিল বিভাগ

দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে নিয়ে জাপানি মা নাকানো এরিকো আপাতত বিদেশে যেতে পারবেন না বলে আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর পাশাপাশি দুই শিশু কার জিম্মায় থাকবে এ সংক্রান্ত আপিল জেলা জজ আদালতকে তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় পর্যন্ত দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে।

বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগ বলেন, সব সমস্যার সমাধান আদালতে হয় না। দুই শিশুর অভিভাবকই ডেসপারেট, উল্টো আমরা বিপদে আছি।

আদালতে জাপানি মায়ের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। অন্যদিকে, বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আখতার ইমাম ও ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।

এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফ ও জাপানি মা নাকানো এরিকোর দুই শিশুকে জাপানি মা নাকানো এরিকোর জিম্মায় রাখার নির্দেশ দেন আদালত।

প্রসঙ্গত, জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকোর সাথে বাংলাদেশি প্রকৌশলী ইমরান শরীফের বিয়ে হয় ২০০৮ সালে। বিয়ের পর তারা টোকিওতে বসবাস শুরু করেন। ১২ বছরের সংসারে তারা তিন কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। তারা হলো জেসমিন মালিকা, লাইলা লিনা ও সানিয়া হেনা। দাম্পত্য কলহের জেরে ২০২০ সালের শুরুতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন এরিকো। এরপর ইমরান স্কুলপড়ুয়া বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। ছোট মেয়ে জাপানে এরিকোর সঙ্গে থেকে যান।

মেয়েদের জিম্মা পেতে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশে আসেন এ জাপানি নারী। তখন থেকেই মেয়েদের জিম্মায় রাখতে তাদের বাবা-মায়ের মধ্যে আইনী লড়াই চলে আসছে।  

Link copied!