দুদকের মামলায় সেই সেলিম প্রধানের ৮ বছরের কারাদণ্ড

আদালত প্রতিবেদক

এপ্রিল ৩০, ২০২৩, ০৭:০৯ পিএম

দুদকের মামলায় সেই সেলিম প্রধানের ৮ বছরের কারাদণ্ড

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ক্যাসিনোকাণ্ডের অন্যতম হোতা সেলিম প্রধানকে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক বদরুল আলম  এ রায় ঘোষণা করেন।

২০১৯ সালে রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে সেপ্টেম্বরে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের হাতে গ্রেফতার হন সেলিম প্রধান। একই বছরের ২৭ অক্টোবর অবৈধ সম্পাদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।

এতে সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি তদন্ত করে পরে তার নামে মোট ৫৭ কোটির বেশি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পায় দুদক।  এরই ধারাবাহিকতায়  ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালত সেলিমের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সেলিম প্রধান দুর্নীতি ও ক্যাসিনোর মাধ্যমে মোট ৫৭ কোটি ৪১ লাখ ৪৮ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এর মধ্যে ৩৫ কোটি ৪১ লাখ ৯৭ হাজার টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। এছাড়া, অভিযোগে আরও বলা হয়,  ক্যাসিনো খেলে অর্জিত টাকার মধ্যে সেলিম প্রধান থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে ২১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা পাচার করেছেন।

জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং পেপার্সের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধানের ৪০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ৬৯ হাজার শেয়ারের বিপরীতে ৬৯ লাখ টাকাবিনিয়োগ দেখানো হলেছে দুদকের অনুসন্ধানে  তার নামে ২৩ কোটি ৫৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬৫০ টাকার শেয়ার মানি ডিপোজিট পাওয়া যায় । তিনি এই টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেছেন।

জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং পেপার্স কোম্পানি ২০১১ সালে ১ কোটি ৪৬ লাখ ২১ হাজার ৭২ টাকা মুনাফা করলেও  ২০১১-১২ অর্থবছরে সেখান থেকে ৮ কোটি টাকা ঋণ নেন বলে নিজের ব্যক্তিগত আয়কর নথিতে উল্লেখ করেন সেলিম প্রধান। তবে ওই কোম্পানি থেকে কীভাবে ঋণ গ্রহণ করেছেন তার কোনো রেকর্ডপত্র দেখাতে পারেন নি সেলিম প্রধান।

Link copied!