দুপুরের মধ্যেই শেষ হবে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান: ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ১২, ২০২২, ০৭:৫২ পিএম

দুপুরের মধ্যেই শেষ হবে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান: ডিএমপি কমিশনার

বাংলা নববর্ষের প্রথম অনুষ্ঠান দুপুর দুইটার মধ্যে শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম। মঙ্গলবার দুপুরে রমনা বটমূলে নববর্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, “বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা বর্ষবরণ। করোনার কারণে গত দুই বছর বন্ধ থাকার পর এবার পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় বর্ষবরণ আয়োজন করা হয়েছে। সীমিত আকারে এবার আয়োজন হবে।”

শফিকুল ইসলাম বলেন, “বর্ষবরণে অন্যান্য বছর থেকে এবার একটু ভিন্নতা থাকবে। সেটি হলো- পান্তা ভাত ও মেলায় খাবারের দোকান। রমজানের কারণে এই আয়োজন থাকছে না। অনুষ্ঠানটি সীমিত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। দুপুর ২ টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। যাতে মানুষ এখান থেকে বের হয়ে খুব সহজে বাড়ি ফিরে ইফতার করতে পারে।”

তিনি বলেন, “পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, টিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে চেক পোস্ট থাকবে। যেখানে সবাইকে চেকের ভেতর দিয়ে এই এলাকায় প্রবেশ কর‍তে হবে। এই এলাকায় সকল যানবাহন বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি সোয়াত ও ডিসপোজাল ইউনিট মোতায়েন থাকবে। আজ এবং আগামীকাল পর্যন্ত পুরো এলাকা সার্চ করা হবে। পুরো চত্বর সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। বিভিন্ন স্থানে ওয়াচ টাওয়ার থাকবে। পুরো এলাকাটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।”

বোম ডিস্পোজাল ইউনিট, সোয়াত, ডগ স্কয়াটের পাশাপাশি রমনার লেকে নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল মোতায়েন থাকবে বলেও জানান তিনি।

২০০১ সালে রমনার বটমূলে জঙ্গি হামলার কথা উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “সেই হামলাকে মাথা রেখে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে দ্রুত মোকাবিলার ব্যবস্থা থাকবে। পাশ্ববর্তী বন্ধু রাষ্ট্র থেকে বিভিন্ন জঙ্গি হামলা খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেটাও আমরা তদারকির মধ্যে রেখেছি।”

ইভটিজিং প্রতিরোধে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা মাঠে থাকবেন জানিয়ে কমিশনার বলেন, “যেখানে অনেক মানুষ একত্রিত হয় সেখানে নারীরা ইভটিজিং এর শিকার হন। বৈশাখ উপলক্ষে আগত আমাদের মা, বোন ও সন্তানরা ইভটিজিং ও খারাপ আচারণের শিকার হন। সেটি চিহ্নিত করার জন্য আমাদের সাদা পোশাকে উল্লেখযোগ্য সদস্য সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে থাকবে।”

ছোট শিশুদের না আনার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, “এই এলাকায় শিশুদের না আনার অনুরোধ করছি কারণ এই এলাকায় খাবারের কোনো দোকান থাকবে না। মুখোশ পরে আসা যাবে না। উচ্চ শব্দ তৈরি করে এমন বাদ্যযন্ত্র আনা যাবে না।”

মঙ্গল শোভাযাত্রায় যোগ দিতে হলে চেকের ভেতর দিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “পহেলা বৈশাখের বিশেষ আয়োজন মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রায় অংশ নিতে হলে আগে চেকিং হয়ে প্রবেশ করতে হবে। চাইলেই কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। কেউ প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশের সদস্যরা কঠোর আচারণ করতে পারে।”

বেলা ১১ টার মধ্যে ছায়ানটের আয়োজন শেষ করতে হবে। আর দুপুর ২ টার মধ্যে রমনা এলাকায় মেলা গুটিয়ে ফেলতে হবে। বেলা ১ টার পরে প্রবেশের সব গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে। এছাড়া পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পুরো এলাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে উল্লেখ করেছেন শফিকুল ইসলাম।

Link copied!