দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতির কারণে ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও লক্ষীপুর-২ আসনের উপনির্বাচন, প্রথম ধাপের ৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) এবং ষষ্ঠ ধাপের ১১টি পৌরসভাসহ বেশ কয়েকটি নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন(ইসি)।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে কমিশনের ৭৮তম সভা শেষে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দেশের অবস্থা স্বাভাবিক হলে আবার নির্বাচন হবে। আগামী ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ, ১১টি পৌরসভা এবং লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া সুনামগঞ্জ-৩ আসনের উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্তও স্থগিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকবে।
দেশের করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও তিনি জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব বলেন, স্থগিত ভোটের তারিখের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারিখ জানানো হবে। এসব নির্বাচন যে পর্যায় থেকে স্থগিত হয়েছে সেখান থেকেই শুরু হবে। নতুন পরিস্থিতিতে আর কোনও নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে না বলে জানান তিনি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, পাবনার সুজানগর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠানে আদালতের আদেশ রয়েছে। সেই কারণে আগামী ৪ এপ্রিল এ পৌরসভার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সব ধরনের নির্বাচন স্থগিত থাকবে।
আগামী ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় দেশের ৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদ ও ষষ্ঠ ধাপে ১১টি পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন এবং লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। বর্তমানে এসব নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা চলছে। এরইমধ্যে ভোট স্থগিতের খবরে প্রার্থী, ভোটার ও জনমনে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
এর আগে গত বছর করোনা সংক্রমণের কারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ বেশ কয়েকটি নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিলো।