হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় পঞ্চম দফায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
রবিবার নারায়ণগঞ্জ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদলতে মামুনুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহাগ রনি ও সোনারগাঁয়ের বাসিন্দা রতন মিয়া।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি আইনজীবী রকিব উদ্দিন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সাক্ষীরা আদালতকে বলেছেন, মামুনুল হক পুলিশের কাছে মামলার বাদীকে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। তবে জান্নাত আরা ঝর্ণা জানান, তিনি তার স্ত্রী নন, তাকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করা হয়েছে।” মামলার ৪৩ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন বলেও তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে নারীসহ স্থানীয়দের হাতে অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। ওইসময় তিনি বিব্রতকর অবস্থায় পড়লে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন। এ ঘটনার ২৭ দিন পর নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় মামলা করেন কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।
-20240322130546.jpg)
-20240320182705.jpg)
