নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেবে ডিপোর মালিকপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ৬, ২০২২, ০৬:২৮ পিএম

নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেবে ডিপোর মালিকপক্ষ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও আগুনের ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ১০ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মালিকপক্ষ বিএম কনটেইনার ডিপো লিমিটেড।

রবিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিএম কনটেইনার ডিপো লিমিটেডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনায় যাঁরা গুরুতর আহত বা অঙ্গহানির শিকার হয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে ছয় লাখ টাকা দেওয়া হবে। অন্য আহত ব্যক্তিদের চার লাখ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে বিএম কেনটেইনার ডিপো লিমিটেডের মালিক চট্টগ্রামভিত্তিক স্মার্ট গ্রুপ।

এর আগে স্মার্ট গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) শামছুল হায়দার চৌধুরী এক ভিডিও বার্তায় নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করার ঘোষণা দেন।
শামছুল হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এই অগ্নিকাণ্ডে যাঁরা নিহত ও আহত হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। পাশাপাশি আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভার আমরা বহন করব।’

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে লাগা আগুনে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া ফায়ার সার্ভিসের ৯কর্মীসহ এখন পর্যন্ত ৪৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। 

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বিএম কনটেইনার ডিপোতে প্রথমে একটি কনটেইনারে আগুনের সুত্রপাত হয়। পরে আরও কয়েকটি কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। প্রথমে কেমিক্যাল কনটেইনার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এরপর আগুন ছড়াতে থাকে। শেষ পর্যন্ত দুই শতাধিক কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দগ্ধ দুই শতাধিক ব্যক্তিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ও অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ৫২ জন এবং অর্থোপেডিক বিভাগে ১০ ভর্তি রয়েছে। চমেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, ৫২ জন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে।

তাদের বেশিরভাগেরই শ্বাসনালী পোড়া। তাদের বাঁচাতে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। রবিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিএম ডিপো থেকে ৪০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এখন যে মরদেহগুলো উদ্ধার হচ্ছে সেগুলো আগুনে পুড়ে বীভৎস রুপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। 

মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চকবাজার জোনের সহকারী (এসি) কমিশনার শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, পাঁচলাইশ থানা পুলিশ মরদেহের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) মর্গে পাঠাচ্ছে। সেখানে মরদেহ শনাক্তের জন্য ডিএনএ সংগ্রহ করা হবে। যাদের স্বজন নিখোঁজ রয়েছেন তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। 

Link copied!