পরীমনি-সাকলায়েন কাণ্ডে তদন্ত কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ৯, ২০২১, ০৪:১১ এএম

পরীমনি-সাকলায়েন কাণ্ডে তদন্ত কমিটি গঠন

চিত্রনায়িকা পরীমনির সঙ্গে ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েন শিথিলের ‘সম্পর্ক’ নিয়ে তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।

রবিবার (৮ আগস্ট) রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের একজন ডিআইজিকে প্রধান করে ওই কমিটি করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর, ডিএমপি এবং সিআইডি এই তিন বিভাগের তিন সদস্যের সমন্বয়ে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদান করবেন। তবে কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন কয়দিনের মধ্যে জমা দেবে তা এখনও জানা যায়নি। 

বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ডিসিপ্লিন) মো. রেজাউল হক এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানান, পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মিয়া মো. মাসুদ করিম, ডিএমপির ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ও সিআইডির একজন প্রতিনিধিকে এই কমিটিতে রাখা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

সাকলাইয়েন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগে এডিসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ৪ আগস্ট মাদককাণ্ডে পরীমণি গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার সঙ্গে ওই কর্মকর্তার সম্পর্ক ও এ সংক্রান্ত ভিডিও ফুটেজ গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে তোলপাড় শুরু হয়। এরপরই তাকে ওই পদ থেকে সরিয়ে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম)-পশ্চিম বিভাগে দায়িত্ব দেয়া হয়।

এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, ‘এডিসি গোলাম সাকলায়েনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি উঠেছে, সেটি নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

গত জুনে উত্তরায় বোট ক্লাবে ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদের সঙ্গে পরীমণির ঝামেলার পর ওই ঘটনায় কয়েকটি মামলা হয়। এরপর অভিযান চালিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যকার একটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন এডিসি গোলাম সাকলায়েন। মামলা তদন্তের কারণেই পরীমণির কাছাকাছি আসেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, সাকলায়েনের সঙ্গে পরীমণির কত দিনের সম্পর্ক, কীভাবে তিনি সম্পর্কে জড়ালেন, মামলার তদন্তে এ সম্পর্কের কোনো প্রভাব পড়েছে কি-না, এসব বিষয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত করা হবে।

পাশাপাশি ডিবিতে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালনকালে তিনি অনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছিলেন কি-না, সে বিষয়ে যাচাই করা হবে।

প্রসঙ্গত, বুধবার (৪ আগস্ট)  সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে তাকে আটক করে র‍্যাব। এসময় তার বাসা থেকে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।

পরদিন বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। ওই মামলায় তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরীমনির মামলাটি পরে ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়।

Link copied!