পাকিস্তানি প্রচারমাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মিথ্যাচারের নিন্দা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ৯, ২০২১, ০৪:৪১ এএম

পাকিস্তানি প্রচারমাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মিথ্যাচারের নিন্দা

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতের এই মাসকে দেশবাসী শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। অথচ এ মাসেও পাকিস্তানি প্রচারমাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে নিয়ে মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে। 

রবিবার (৮ আগস্ট) বাংলাদেশের কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক ও শিক্ষকসহ বিশষ্টি ব্যক্তিরা এ ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রচারের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। সেইসঙ্গে এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। 

বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তানি প্রচারমাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে অব্যাহত মিথ্যাচারের নিন্দা করছি আমরা।

১৯৭১'র মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি সৈন্যরা কোনও গণহত্যা করেনি, পাকিস্তানের প্রতি বিদ্বেষের কারণে ভারত ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভেঙেছে এবং ভারতীয় সৈন্য ও মুক্তিবাহিনী নির্বিচারে নিরীহ পাকিস্তানিদের হত্যা করেছে ইত্যাদি অসত্য তথ্য পাকিস্থানের গণমাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে প্রচার করা হচ্ছে। 

চলতি আগস্ট মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাকিস্তানি টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠান প্রচারিত হচ্ছে যেখানে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু কখনও পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চান নি। তার ৭ই মার্চের ভাষণকে বিকৃত করে দেখানো হচ্ছে। এছাড়া ১৬ ডিসেম্বরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংবাদে বঙ্গবন্ধু নাকি ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। তিনি নাকি বাঙালিদের উদ্দেশে পাকিস্তানের অখণ্ডতার কথা বলবেন, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এর বাইরেও নানা ধরনের মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, লেখক সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী, অধ্যাপক অনুপম সেন, কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক, শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুননবী, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার, অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম, অধ্যাপক ডাঃ কাজী কামরুজ্জামান, ক্যাপ্টেন (অবঃ) আলমগীর সাত্তার বীরপ্রতীক, ক্যাপ্টেন (অবঃ) সাহাবউদ্দিন আহমেদ বীরউত্তম, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রশীদ (অবঃ), মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডাঃ আমজাদ হোসেন, ড. নূরন নবী, লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শহীদজায়া সালমা হক, সমাজকর্মী আরমা দত্ত এমপি, কলামিস্ট সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, অধ্যাপক শিল্পী আবুল বারক আলভী, সমাজকর্মী কাজী মুকুল, ড. ফরিদা মজিদ, অধ্যাপক আয়াশ উদ্দিন, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ভয় শেখ বাহারুল আলম, ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, ডাঃ ইকবাল কবীর, মুক্তিযোদ্ধা মকবুল ই এলাহী চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান শহীদ, এডভোকেট আবদুস সালাম, অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম, অধ্যাপক আবদুল গাফফার, কবি জয়নুল হোসেন, ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ, মুক্তিযোদ্ধা কাজী লুত্যর রহমান, সাবেক জাতীয়ফুটবলার শামসুল আলম মঞ্জু, সমাজকর্মী কামরুননেসা মান্নান, এডভোকেট আজাহার উলস্নাহ ভূঁইয়া, সঙ্গীতশিল্পী জান্নাত-ই ফেরদৌসী লাকী, অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাব, সাংবাদিক শওকত বাঙালি, উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, অধ্যাপক ডাঃ নুজহাত চৌধুরী শম্পা, লেখক আলী আকবর টাবী, সমাজকর্মী চন্দন শীল, এডভোকেট কাজী মানছুরুল হক খসরু, এডভোকেট দীপক ঘোষ, ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী, সাংবাদিক মহেন্দ্র নাথ সেন, শহীদসন্তান তৌহিদ রেজা নূর, শহীদসস্থান শমী কায়সার, শহীদ সন্তান ন আসিফ মুনীর তনুয়, শহীদসন্তান তানভীর হায়দার চৌধুরী শোভন, মানবাধিকারকর্মী তরুণ কান্তি চৌধুরী, লেখক সাংবাদিক সাব্বির খান, মানবাধিকারকর্মী আনসার আহমদ উলস্নাহ, মানবাধিকারকর্মী স্বীকৃতি বড়ুয়া, এডভোকেট আবদুল মালেক, সাংবাদিক দিব্যেন্দু দ্বীপ, অধ্যাপক সুজিত সরকার, সমাজকর্মী হারুণ অর রশীদ, এডভোকেট মালেক শেখ, সহকারী অধ্যাপক তপন পালিত, সমাজকর্মী শিমন বাস্তে, সমাজকর্মী শেখ আলী শাহনেওয়াজ পরাণ, সমাজকর্মী সাইফ উদ্দিন রুবেল, লেখক ও চলচ্চিত্রনির্মাতা শাকিল রেজা ইফতি।

Link copied!