পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিয়ে জালিয়াতি: গ্রেফতার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ২, ২০২২, ০১:১৮ এএম

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিয়ে জালিয়াতি: গ্রেফতার ৩

কম্পিউটারের মাধ্যমে পাসপোর্টের ঠিকানা পরিবর্তন ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ভূয়া প্রত্যয়নপত্র সংযুক্ত করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পল্টন মডেল থানা। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হলেন-মো. মাসুদ মিয়া, মো.কামাল হোসেন ও গোলাম কিবরিয়া। মঙ্গলবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে রাজধানীর ফার্মগেট, খিলক্ষেত ও কেরানীগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আ. আহাদ বুধবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, ডিএমপির একটি জনবান্ধব নাগরিক সেবা হলো পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সেবা। নাগরিকদের বিদেশ গমণের ক্ষেত্রে সেবাটি প্রয়োজন হয়। অনলাইনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে সেবাটি অত্যন্ত সরল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। দীর্ঘদিন যাবৎ এ সেবাটি অত্যন্ত সুনাম এবং স্বচ্ছতার সাথে করছে ডিএমপি। তিনি বলেন, গত ২০ এপ্রিল মো. মাসুদ মিয়া নামে জনৈক ব্যক্তি পুলিশ কমিশনার বরাবর অনলাইনে একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করেন। যা যাচাই বাছাইকালে আবেদনে প্রদত্ত ঠিকানা ভূয়া পরিলক্ষিত হয়। তখন আবেদনে সংযুক্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলের প্রত্যয়নপত্রটি যাচাই করে এর স্বাক্ষর সঠিক নয় বলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিল জানান। যার প্রেক্ষিতে বুধবার বিকেলে ফার্মগেট থেকে আবেদনকারী মো. মাসুদ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খিলক্ষেত থেকে কামাল হোসেন ও কেরানীগঞ্জ  থেকে মো. গোলাম কিবরিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, গ্রেফতারকৃত মাসুদ মিয়ার বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য ৩০ হাজার টাকায় কামাল হোসেনের সাথে চুক্তি করে। কারণ তার নামে নরসিংদীর মাধবদী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। কামাল হোসেন আবার ২৮ হাজার টাকায় গোলাম কিবরিয়ার সাথে চুক্তি করে। তিনি বলেন, গেফ্রতারকৃতরা পরস্পরের যোগসাজশে মূল পাসপোর্টের তথ্য পাতা স্ক্যান করে। এরপর কম্পিউটারের মাধ্যমে জরুরী যোগাযোগের ঠিকানা পরিবর্তন করে। পরবর্তীতে পল্টন মডেল থানা এলাকার ঠিকানা ব্যবহার এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ভূয়া প্রত্যয়নপত্র সংযুক্ত করে। এডিটকৃত পাসপোর্টের ফটোকপিতে সত্যায়নকারী ডাক্তারের জাল সীল মোহর ও জাল স্বাক্ষর সত্যায়ন করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে।     

Link copied!