পিটার হাসের ঘটনায় সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিসেম্বর ১৬, ২০২২, ০৩:২৪ পিএম

পিটার হাসের ঘটনায় সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে উপপ্রধান মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল প্রশ্নোত্তরে এ তথ্য জানিয়েছেন।

গতকাল ওয়াশিংটনে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখ্য উপ-মুখপাত্র ভিডেন্ট প্যাটেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তার মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্ব শান্তি, নিরাপত্তা ও অগ্রগতির পূর্বশর্ত হিসাবে আমরা মানবাধিকারের প্রতি সম্মানকে স্বীকৃতি দেই। স্বাধীন গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ এবং সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে কোনো ঘাটতি দেখা দিলে আমরা বাংলাদেশের সাথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অন্যতম উপাদান মানবাধিকারকে সমুন্নত রাখার বিষয়টি উত্থাপন করি। তিনি বলেন, গত বুধবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে একটি বৈঠক তড়িঘড়ি করে শেষ করেন। আমরা বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এ ব্যাপারে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি।

ঢাকায় নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর শাহীনবাগে প্রায় এক দশক ধরে নিখোঁজ বিএনপির নেতা সাজেদুল ইসলামের বাসায় যান। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময় বাসার বাইরে ‘মায়ের কান্না’ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে একদল লোক তাঁকে ঘিরে ধরার চেষ্টা করেন। নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় তিনি বেরিয়ে আসেন।

এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত মন্ত্রীকে বলেন যে উনি এক বাসায় গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই বাসার বাইরে বহু লোক ছিল। তারা তাঁকে কিছু একটা বলতে চাচ্ছিল। রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা লোকেরা তাঁকে তাড়াতাড়ি উক্ত স্থান থেকে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তা না হলে লোকগুলো রাষ্ট্রদূতের গাড়ি ব্লক করে দেবে বলে তাঁকে বলা হয়। সেই নিরাপত্তা অনিশ্চয়তা থেকে তিনি তাড়াতাড়ি উক্ত স্থান ত্যাগ করেন, এবং এতে তিনি খুবই অসন্তুষ্ট হয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি রাষ্ট্রদূতের কাছে জানতে চেয়েছেন দূত বা তাঁর লোকদের ওপর কেউ আক্রমণ করেছে কি-না? আক্রমণ হয়নি বলে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, তবে তার গাড়িতে সম্ভবত দাগ লেগেছে। তবে রাষ্ট্রদূত সে বিষয়ে নিশ্চিত নন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, উক্ত বাসায় রাষ্ট্রদূতের যাওয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিছুই জানতোনা। তাহলে, রাষ্ট্রদূত যে উক্ত বাসায় যাবেন, তা কে ফাঁস করল? এমন প্রশ্নে রাষ্ট্রদূত কিছু বলতে পারেননি বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

Link copied!