বিস্ফোরক দ্রব্য সংকটে আবারও বন্ধ মধ্যপাড়া পাথর খনি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ৬, ২০২২, ০৯:৫৩ পিএম

বিস্ফোরক দ্রব্য সংকটে আবারও বন্ধ মধ্যপাড়া পাথর খনি

বিস্ফোরক দ্রব্য (অ্যামালসন এক্সপোসিভ) সংকটে আবার বন্ধ রয়েছে দিনাজপুরের মধ্যপাড়া পাথর খনির উৎপাদন কার্যক্রম। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো বন্ধ হলো উৎপাদন কার্যক্রম। খনি পাথর উত্তোলন ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) রোববার (০১ মে) সকাল থেকে উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। তবে বিষয়টি এতদিন গোপন রাখা হয়েছিল।  

উৎপাদন ও উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত বিস্ফোরক (অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট) সংকটে এর আগে চলতি বছরের ১২ মার্চ পাথর মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি থেকে পাথর উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এর আগে বিস্ফোরকের অভাবে প্রথম ২০১৪ সালে ২২ দিন, ২০১৫ সালে দুই মাস এবং ২০১৮ সালের জুন মাসে সাতদিন ও ২০২২ সালের মার্চ মাসে ১৪ দিন উৎপাদন বন্ধ ছিল।

উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধের ফলে দৈনিক গড়ে সাড়ে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন না হওয়ায় প্রতিদিন সরকারের লোকসান হবে প্রায় দেড় কোটি টাকা। বর্তমানে খনি অভ্যন্তরে ৪০ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পাথর মজুদ রয়েছে। এ মজুদ শেষ হওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় বিস্ফোরক আমদানি করা না হলে খনি থেকে পাথর বিক্রিও বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে সরকারের উন্নয়ন কাজে পাথর সংকট সৃষ্টি হবে।  

খনি কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০০৭ সাল থেকে উৎপাদন শুরু হওয়া এ খনির ক্রমাগত লোকসান রোধ এবং উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৯২ লাখ মেট্রিক টন পাথর উত্তোলনের বিপরীতে ১৭১.৮৬ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে খনির উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয় বেলারুশের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়ামকে (জিটিসি)। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে তিন শিফটে পাথর উত্তোলন করছে প্রায় সাড়ে সাতশ’ শ্রমিক। লাভের মুখ দেখায় পাথর উত্তোলনের জন্য ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসির সঙ্গে আগামী ছয় বছরের পুনঃচুক্তি করে মধ্যপাড়া গ্রানাইড মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (মধ্যপাড়া পাথর খনি) কর্তৃপক্ষ।  

Link copied!