বেটা
ধানমন্ডিতে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের। ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ
সরকারকে যারা চাপ দেবে তারা নিজেরাই যথেষ্ট চাপে রয়েছে। আরব বসন্তের স্পর্শ আটলান্টিকের ওপারেও লেগেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (৩ মে) সকালে ধানমন্ডিতে সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি। আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক বলেন, “দেশ শাসন করতে গিয়ে আমরা এই চাপ অনুভব করি। নির্বাচনের আগেও তো চাপ, হুমকি-ধামকি ছিল। নিষেধাজ্ঞা দেবে- এগুলো তো তারা প্রকাশ্যেই বলেছে।”
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “এমপি-মন্ত্রীদের নিকটাত্মীয় বলতে দলীয় সভাপতি (শেখ হাসিনা) সুনির্দিষ্টভাবে স্ত্রী-সন্তানদেরকেই বুঝিয়েছেন। তিনি গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে ও বিকেলে দলীয় সভায় তার খোলাসা করেছেন। নির্দেশ দিয়েছেন, নির্বাচনে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তার, হস্তক্ষেপ না করতে। প্রশাসনকে কোনোভাবে প্রভাবিত করা যাবে না। স্পষ্ট করে তিনি সে কথা বলেছেন। নেত্রীর গাইডলাইন্স অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবো।”
সেতুমন্ত্রী বলেন, “উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের অনেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার শুরু করেছেন। সবশেষ গোলাম দস্তগীরের ছেলে প্রত্যাহার করেছেন। সামনে আরো সময় আছে।”
বিরোধীদের রাজনৈতিক কর্মসূচি সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, “এদেশে বিরোধী দল কথা ও বিবৃতি সর্বস্ব রাজনীতি করছে। মাঠে তাদের কোনো কর্মসূচি নেই। দ্বিধাবিভক্ত বিএনপির ঘরের রাজনীতিও ঝিমিয়ে পড়েছে। নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে ও আন্দোলনের নামে অগ্নি সন্ত্রাস করতে গিয়ে সারাদেশে যে অবস্থা সৃষ্টি করেছে, যে নেতিবাচক রাজনীতি করেছে- এতে দলটির প্রতি জনগণের অনীহা সৃষ্টি হয়েছে। আবার দল ক্ষমতায় আসবে নেতারা একথা ব্যক্ত করলেও কর্মীরা তা বিশ্বাস করে না।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমরা ইতিবাচক রাজনীতি করি। বিশেষ সংকটে যে প্রভাব প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশেও সে প্রতিক্রিয়া থেকে জনগণ কি পরিত্রান দিতে এবং এ সংকট সাময়িক হলেও এ সংকট দূর করতে কিছু বাস্তবমুখী কর্মসূচি নিতে হবে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে, বেকার সমস্যা দূরীকরণ এবং নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দলকে সু সংগঠিত করতে নেত্রী দায়িত্ব দিয়েছেন এবং সেভাবে দলকে আমরা সাজিয়ে নিচ্ছি।”
খালেদা জিয়া প্রসঙ্গ
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী বলেন, “বেগম জিয়া আটকে আছেন আইনের ফাঁদে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মামলায় তিনি বন্দি। বিএনপি নেতাদের উপেক্ষা-অবহেলার জন্য, হাজিরা বিলম্বিত করা। ১ বছরে যেটা শেষ হতো ১০ বছরেও তার বিচার শেষ হয়নি। লিগ্যাল ব্যাটেল (আইনি যুদ্ধ) করতেও তারা পারেনি। রাজপথেও তারা দেখার মতো কোনো মিছিল করতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উদারতায় বেগম জিয়ার শাস্তি স্থগিত রেখে বাড়িতে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন। বাড়িতে বসেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিদেশ থেকেও চিকিৎসক এসে চিকিৎসা করাচ্ছেন।”
