বিয়ে ও সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি কারাগারে

আদালত প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩, ১০:২৯ পিএম

বিয়ে ও সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি কারাগারে

পাবনা-২ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মিথ্যা নাম-পরিচয় দিয়ে বিয়ে ও প্রতারণার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এক তালাকপ্রাপ্তা নারীর করা ধর্ষণ মামলায়  বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক বেগম সামছুন্নাহার এ আদেশ দেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী এস এম লুৎফর রহমান জাহাঙ্গীর বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ।

আইনজীবী এস এম লুৎফর রহমান জাহাঙ্গীর বলেন, এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন আসামি আরজু। তবে আদালত শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে, গত ১৬ জানুয়ারি এ মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন( পিবিআই) প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আসামি আরজুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫-এর বিচারক বেগম সামছুন্নাহার।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০০ সালের ডিসেম্বরে বাদীর সঙ্গে তার প্রথম স্বামীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর ২০০১ সালের শেষের দিকে বাদীর চাচার মাধ্যমে আসামি সাবেক এমপি খন্দকার আজিজুল হক আরজুর পরিচয় হয়। কিন্তু আসামি ওই সময় নিজের নাম ফারুক বলে উল্লেখ করেন। আসামি তার প্রথমপক্ষের স্ত্রী মারা গেছেন বলেও বাদীকে জানান। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৩ সালের ১০ ডিসেম্বর আসামির সঙ্গে বাদীর বিয়ে হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জানুয়ারি তাদের কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু সন্তান জন্ম নেওয়ার পর থেকেই আসামির আচার-আচরণে পরিবর্তন আসে। বাসায় আসা কমিয়ে দেন। বাদীর জমানো আট লাখ টাকা এবং তার বাবার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকাসহ ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেন আসামি।

একপর্যায়ে বাদী আসামির বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন তার প্রথম স্ত্রী জীবিত এবং প্রথমপক্ষে কন্যাসন্তান রয়েছে। এ ছাড়া ফারুক হোসেন নামে পরিচয় দিলেও তার আসল নাম খন্দকার আজিজুল হক আরজু। মিথ্যা তথ্য ও পরিচয় দিয়ে বাদীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের উদ্দেশ্যেই বিয়ের নামে প্রতারণা করেছেন আরজু। একইসঙ্গে আসামি বাদীর সঙ্গে বিয়ে ও তাদের সন্তানের পিতৃপরিচয় দিতে অস্বীকার করেন। কিন্তু ওই কন্যাসন্তানের ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনে বাদীর গর্ভজাত এবং বিবাদী জন্মদাতা বাবা বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।

 

প্রসঙ্গত, খন্দকার আজিজুল হক আরজু ২০১৪ সালে পাবনা-২ আসন থেকে প্রথমবারের মতো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়  জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

Link copied!