বিয়ে করতে হইলে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে, অতঃপর বিয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেম্বর ৩, ২০২২, ০৪:৩০ এএম

বিয়ে করতে হইলে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে, অতঃপর বিয়ে

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকা পর্যন্ত বিএনপির অবিবাহিত নেতাকর্মীদের বিয়ে না করার  পরামর্শ দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এই সরকারের আমলে নেতাকর্মীরা বিয়ে করলে তাদের বউয়ের নামেও মামলা হয়ে যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমার অনেক ছোট ভাইয়েরা আছেন, অনেকে বিয়েসাদি করেন নাই। যাঁরা বিয়ে করেন নাই, তাঁদের উদ্দেশে আমার একটা বক্তব্য আছে। সেটা হলো, বিয়ে করলে আপনার নামে তো মামলা হবেই, আপনার বউয়ের নামেও মামলা হয়ে যাইব।’

‘আমাদের যত নেতা, সকলের নামে মামলা হইছে, তাদের বউদের নামেও মামলা হইছে’-উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম এই সদস্য আরও বলেন, ‘এখন এই সরকার থাকতে দয়া করে আপনারা বিয়েসাদি কইরেন না। খামাখা বউটারে মামলা খাওয়াইয়েন না। বিয়ে করতে হইলে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে, অতঃপর বিয়ে।’

তারেক রহমানের পরিচালনায় আন্দোলন হচ্ছে তাই সরকারের গাত্রদাহ উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন ,  ‘এ সরকার খুব ভালো করে জানে, তারেক রহমান বিদেশে আছেন, জোবায়দা রহমান বিদেশে আছেন। এবং খুব করে জানে, জোবায়দা রহমান ওখানে পড়াশোনা করছেন, আর তারেক রহমান আজ বাংলাদেশের আন্দোলন পরিচালনা করছেন। এ কারণেই সরকারের গাত্রদাহ হয়ে গেছে। এত বছর পর পুরোনো মামলা এখন তারা জাগ্রত করেছে।’

তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা মামলার সমালোচনা করে বিএনপির এই হেভিওয়েট নেতা আরও বলেন, ‘২০০৭ সালে এক-এগারোর সময় যখন মামলা করা হয়, তখন আমরা অনেকই জেলে ছিলাম। আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ওবায়দুল কাদেরসহ অনেকে জেলে ছিলেন। একই সময়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। আজকের প্রধানমন্ত্রীও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছিল। আজকে তাদের (আ.লীগের) কারও বিরুদ্ধে মামলা নেই। সব মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আর আমাদের বিরুদ্ধে এখনো মাটি খুঁড়ে মামলা বের করা হচ্ছে। এর পেছনে একটি চক্রান্ত কাজ করছে, তারেক রহমান যাতে কথা বলতে না পারেন।’

Link copied!