মাদারীপুরে রাজীব হত্যা মামলায় ২৩ জনের ফাঁসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ২২, ২০২৩, ০২:৪৫ এএম

মাদারীপুরে রাজীব হত্যা মামলায় ২৩ জনের ফাঁসি

মাদারীপুরে শহরে ২০১২ সালে আলোচিত রাজীব হত্যা মামলায় ২৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া, একই মামলায় আরও ৬ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৪ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) আদালতের বিচারক বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস এ রায় ঘোষণা করেন। এলাকায়।

আদালতের সরকারি কৌঁসূলি (পিপি) সিদ্দিকুর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া ২৯ আসামির বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন

যারা মৃত্যুদণ্ড পেলেন- আবদুল হাই হাওলাদার (৫৫), আবদুল হক হাওলাদার (৫৮), জহিরুল হাওলাদার (৩৬), রাসেল হাওলাদার (৩৮), রাজা হাওলাদার (৫০), কালু হাওলাদার (৫৫), সোবহান হাওলাদার (৫০), তুষার শরীফ (৩০), ইউসুফ হাওলাদার (৪০), আজিজুল হাওলাদার (৪৮), রহিম হাওলাদার (৫২), রেজাউল হাওলাদার (৫৪), শামীম হাওলাদার (৩০), আহাদ হাওলাদার (২৯), দলিলউদ্দিন হাওলাদার (৫২), অলিল উদ্দিন হাওলাদার (৫৫), জসিম হাওলাদার (৩৮), মনির হাওলাদার (৩৭), সুমন শরীফ (৩২), সাগর শরীফ (৩০,) হাফিজুল কাজী (৩৮), কালু কাজী (৪২) ও আলাউদ্দিন কাজী (৩০)।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন-সেকেন হাওলাদার (৫০), উজ্জ্বল হাওলাদার (৪২), জামাল হাওলাদার (৪৮), রুবেল হাওলাদার (৩২), নুরুল আমিন হাওলাদার (৫৩) ও বাকি বিল্লা হাওলাদার (৫৮)। এছাড়া,  অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলার চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকালে মামা আলী হাওলাদারের নার্সারিতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন রাজীব সরদার (২৫)। এ সময় তিনি পৌর শহরের হরিকুমারিয়া এলাকায় এলে পূর্বশত্রুতার জেরে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দেশি অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাঁকে গুরুতর জখম করেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে  ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পথে রাজিবের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনার তিন দিন পর নিহত ব্যক্তির মামা আলী হাওলাদার বাদী হয়ে জামাল হাওলাদার, রহিম হাওলাদার, আছাদ হাওলাদারসহ ৪৭ জনকে আসামি করে মাদারীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক রাজীব হোসেন ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৩৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। পরে আদালতে দীর্ঘ ১১ বছর বিচার কার্যক্রম চলার পর সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে ২৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আদালতে এ রায় ঘোষণার সময় ২২ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!