বেটা
নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ৩১, ২০২২, ০২:০৭ এএম
বাংলাদেশের ভূখণ্ডে একের পর এক মর্টার শেল এসে পড়া এবং যুদ্ধে ব্যবহৃত হেলিকপ্টারের আকাশ সীমা লঙ্ঘনসহ সাম্প্রতিক ঘটনার জন্য আনুষ্ঠানিক দুঃখ প্রকাশ করেছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি। ভবিষ্যতে সীমান্ত প্রটোকল ব্যত্যয় না হওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
রবিবার সকালে কক্সবাজার টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপ বিওপির পাশে সাওদার্ন পয়েন্টে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি সঙ্গে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে এ দুঃখ প্রকাশ করেছ বিজিপি।
বৈঠকে বিজিবির পক্ষে ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি-২) অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার। অন্যদিকে, বিজিপির ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মিয়ানমার ১ নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চ অধিনায়ক লে. কর্নেল ইয়ে ওয়াই শো।
বৈঠক শেষে বিকেলে টেকনাফ (বিজিবি-২) ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার বলেন, “পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশ- মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় উদ্ভূত পরিস্থিতি ছাড়াও অবৈধভাবে মিয়ানমার নাগরিকদের অনুপ্রবেশ ও মাদক পাচার রোধ সম্পর্কে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। দুটি বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে পারস্পারিক যোগাযোগ, আস্থা এবং নির্ভরতার পরিবেশ তৈরির জন্য ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণে গুরুত্বারোপ করা হয়।”
বিজিবি’র ’প্রতিনিধি দলের এই নেতা অঅরও বলেন, “বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর হেলিকপ্টার উড্ডয়ন, সীমান্ত এলাকায় ক্ষুদ্রাস্ত্র এবং ভারি অস্ত্রের ফায়ারিং, জানমালের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান কর্তৃক তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফলে চলমান সংঘাতের জের ধরে যাতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো গোলা পতিত না হয় সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখার বিষয়ে বিজিপিকে আহ্বান জানানো হয়।
লে. কর্নেল শেখ খালিদ জানান, বিজিবি ও বিজিপির কাছে সব সময় সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং সীমান্তে স্থিতিশীলতা রাখার জন্য দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের প্রত্যাশা করে। এ বিষয়ে বিজিপি ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে সীমান্ত প্রটোকল ব্যত্যয় না হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
