রাজধানীতে রমনা বটমূলের অনুষ্ঠান বিকেল ৪টার মধ্যে শেষ করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ১৪, ২০২৩, ০২:৪৫ এএম

রাজধানীতে রমনা বটমূলের অনুষ্ঠান বিকেল ৪টার মধ্যে শেষ করতে হবে

বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ উদযাপন উপেলক্ষ্যে রাজধানীতে রমনা বটমূলের সব অনুষ্ঠান বিকেল ৪টার মধ্যে শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এসময়  ব্যাগ নিয়ে কাউকে রমনার বটমূলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।  

বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ বরণ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে রমনা বটমূলে নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

ডিএমপি প্রধান বলেন, “ শুক্রবার পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষ। রমনা বটমূলে ছায়ানটের সংগীতের মাধ্যমে দিনটির বরণ অনুষ্ঠান শুরু হবে। বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে ধ্বংস করার জন্য ২০০১ সালে জঙ্গি গোষ্ঠী এ রমনা বটমূলে বিস্ফোরণ ঘটায়। তাতে অনেক নিরীহ লোকের প্রাণহানি ঘটে। তারপর থেকে ডিএমপি প্রতিবছর রমনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র সরোবর ও ঢাকার যেসব স্থানে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান হয়, সেসব স্থানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। এর অংশ হিসেবে রমনার বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানস্থলে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে।”

খন্দকার ফারুক বলেন, “আমাদের সিটিটিসির(কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট আন্তর্জাতিক মানের। যদি কোথাও বোমা পাওয়া যায়, তাহলে সিটিটিসির রোবোটিকস সিস্টেম ও ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে। পরে রোবটের মাধ্যমে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা যাবে। এর মধ্যেও যদি কোনো দুষ্কৃতকারী ঢুকে যায়, তাহলে ডিএমপির বিশেষায়িত সোয়াট (দ্য স্পেশাল উইপেন্স অ্যান্ড ট্যাকটিকস) টিম মোকাবিলা করবে।

নিরাপত্তা বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “এবারের পহেলা বৈশাখ যেন ঢাকাবাসীসহ সব বাঙালি উৎসবমুখরভাবে পালন করতে পারে, সে জন্য ডিএমপি সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা করেছে। রমনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, টিএসসি, রবীন্দ্র সরোবর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক প্রায় ২ হাজার ৭০০ পুলিশ মোতায়েন থাকবে।”

রমনাকেন্দ্রিক মোট ৯টি গেট থাকবে উল্লেখ করে ডিএমপি প্রধান বলেন, “এর মধ্যে চারটি গেট দিয়ে প্রবেশ করা যাবে। বাকি ৫টি গেট দিয়ে প্রবেশ-বাহির হওয়া যাবে। প্রতিটি গেটে পুলিশ, আর্চওয়ে,মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। প্রত্যেককে তল্লাশি করে রমনায় প্রবেশ করানো হবে, যাতে কোনো দুষ্কৃতকারী সুযোগ নিতে না পারে। প্রতিটি গেটে পোশাকধারীর পাশাপাশি সাদাপোশাকে পুলিশ ও ডিবি পুলিশ তৎপর থাকবে।”

এসময় তিনি বলেন, “গেটে পুলিশ, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। প্রত্যেককে সার্চ করে রমনায় প্রবেশ করানো হবে।”

ঢাকা মহানগরীর পুলিশপ্রধান বলেন, “ডিএমপির সিটিটিসির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হয়েছে, বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয়করণ দল রোবটের মাধ্যমে বোমা পেলে নিষ্ক্রিয় করবে।”

পুলিশ কমিশনার বলেন, “নগরবাসী নিরাপত্তার মধ্যে থেকেই আনন্দ উৎসব করতে পারবেন। পয়লা বৈশাখে উঠতি বয়সী ছেলেরা ভুভুজেলাসহ বিভিন্নভাবে উচ্চ শব্দ করে নগরবাসীর দুর্ভোগ সৃষ্টি করে। এ ধরনের শব্দ না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি। প্রত্যকের চেক-ইন করা হবে। তাই বাড়তি কোনো কিছু নিয়ে রমনায় আসবেন না।”

ডিএমপি প্রধান আরও বলেন, রমনায় লোকসমাগম বেশি হলে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। রমনা পার্ক সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

Link copied!