স্বাক্ষর জালিয়াতি করে জলমহাল ইজারা নিল প্রভাবশালী!

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ২২, ২০২২, ০৯:৪৮ পিএম

স্বাক্ষর জালিয়াতি করে জলমহাল ইজারা নিল প্রভাবশালী!

স্বাক্ষর জালিয়াতি, এমনকি কৈাশলে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে পেশায় কৃষক হলেও তাদের নাম দেওয়া হয়েছে মৎস্যজীবী সমিতিতে। নেওয়া হয়েছে জলমহাল উন্নয়নের ইজারা। পুরো ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানেন না স্থানীয় অন্যান্য মৎস্যজীবীসহ ভুক্তভোগী ১০ কৃষক! 

ভুক্তভোগী কৃষকরা হলেন, শৈলেন্দ্র বর্মন, রাজু বর্মন, আনন্দ বর্মন, পলাশ বর্মন, বিকাশ দাস, লিটন বর্মন,পরিতোষ বর্মন, জগদীশ চন্দ্র দাস,  নেপাল বর্মন, রুপন বর্মন।

জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলার ২ নং চাকুয়া ইউনিয়নের শালদীঘা ফরিদপুর গ্রামে এই স্বাক্ষর জালিয়াতি করে রানীচাপুর জলমহাল ইজারা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

১৪২৯ থেকে ১৪৩৪ বাংলা সনের জন্য ০৬ (ছয়) বৎসরের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে ইউনিয়নের মৎস্য কন্যা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে জনৈক সিদ্দিক মিয়া সমিতির কোনো সদস্যকে না জানিয়েই সভাপতির স্বাক্ষরসহ সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে ১০ কৃৃষকের নাম পরিচয় জমা দিয়ে সম্পূর্ণ বে-আইনি ও অবৈধভাবে অসহায় গরীব জেলেদের অধিকার হতে বঞ্চিত করে জলমহালটি ইজারা নেয়।

না জানিয়ে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে নিজেদের স্বাক্ষর ও জাতীয় পরিচয় পত্র জমা দেওয়ায়  শৈলেন বর্মন, রাজু বর্মন, জগদীশ চন্দ্র দাস সহ বিক্ষুব্ধ ১০ কৃষক নোটারী পাবলিক নেত্রকোনায় উপস্থিত হয়ে গত ১৮ এপ্রিল এফিডেভিট করেন।

জালিয়াতির ব্যাপারে অভিযুক্ত সিদ্দিক মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। 

খালিয়াজুড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম আরিফুল ইসলাম অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে আমরা এখন ভাবতেছি না। তবে তদন্ত চলছে। অভিযোগটি হয়েছে জেলা প্রশাসক বরাবরে।

Link copied!