লক্ষ্মীপুরে মিলন হোসেন (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার মরদেহ একটি সুপারি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন ওই ব্য্যক্তির স্ত্রী জাহানারা বেগম। রবিবার রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আউয়াল সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ২২ এপ্রিল দিবাগত রাতে সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুড়িয়া গ্রামে জাহানারা তার স্বামী মিলনকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার মরদেহ বাড়ির পেছনে সুপারি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পরদিন সকালে স্থানীয়রা বাঁধা অবস্থায় মিলনের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় মিলনের ছোট ছেলে হোসেন মাহবুব বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাহানারাসহ পরিবারের চার সদস্যকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী জাহানারা বেগম হত্যার কথা স্বীকার করেন। রবিবার বিকেলে আদালতেও তিনি হত্যার ঘটনা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার এসআই আবদুল আউয়াল গণমাধ্যমকে বলেন, “মিলনের মরদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছি।”
কেন হত্যা করা হলো-এমন প্রশ্নের জবাবে থানার ওই কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, “জবানবন্দির প্রতিবেদন এখনও পাইনি। ঘটনার বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। অন্য কেউ জড়িত আছে কি না তা আপাতত বলতে পারছি না।
