হজে যেতে মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ৩০, ২০২২, ০২:৩৯ এএম

হজে যেতে মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতি এখনো সম্পূর্ণ স্বাভাবিক না হওয়ায় এ বছর বিশেষ পরিস্থিতিতে এবং কম সময়ের প্রস্তুতিতে হজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। হজ যাত্রীেদের জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার এ বিষয়ে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

নির্দেশনাগুলো হলো:

১. ৬৫ বছরের কম বয়সী হতে হবে। অর্থাৎ, পাসপোর্টে যাদের জন্ম তারিখ ১ জুলাই ১৯৫৭ এবং তারপরে রয়েছে তারাই কেবল হজ পালনের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে।

২. ২০২০ সালে যারা সরকারি, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছিলেন তারা এ বছর হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

৩. ২০২০ সালে ৬৫'র বেশি বয়সী (যাদের জন্মতারিখ ৩০ জুন ১৯৫৭ কিংবা তার আগে) হিসেবে নিবন্ধিত হজযাত্রী কিংবা মারা যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবার থেকে অন্য কেউ হজে যেতে চাইলে ওই শূন্য কোটায় অগ্রাধিকার পাবেন। সরকারি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে হজ অফিসের পরিচালকের কাছে দ্রুত বদলি হজযাত্রীকে পাসপোর্টসহ আবেদন করতে হবে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আগ্রহীরা নিজ নিজ এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। উভয়ক্ষেত্রেই, প্রস্তাবিত ব্যক্তির প্রাক নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। স্বল্পতম সময়ের মধ্যে নতুনভাবে হজ নিবন্ধন শেষ করে ভিসা আবেদনের জন্য নিম্নের নির্দেশনা অনুসারে প্রস্তুতি নিতে হবে।

ক. ২০২০ সালে নিবন্ধিত সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা এ বছর হজ প্যাকেজ ঘোষণার ৩ দিনের মধ্যে যে কোনো নিবন্ধন কেন্দ্র থেকে প্যাকেজ স্থানান্তর সম্পন্ন করতে পারবেন। এ জন্য, ২০২০ সালে পরিশোধিত প্যাকেজের দাম সমন্বয় করে ২০২২ সালের যে কোনো একটি প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা ভাউচারের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকে জমা দিতে হবে। প্যাকেজ স্থানান্তর/নিবন্ধনের তিন দিনের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের পাসপোর্ট নিজ দায়িত্বে ঢাকার হজ অফিসে জমা দিতে হবে।

খ. বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ২০২০ সালে নিবন্ধিত হজযাত্রীরা নিজ নিজ এজেন্সির প্যাকেজ দ্রুত নির্ধারণ ও অবশিষ্ট টাকা পরিশোধ করে এজেন্সির সহায়তায় হজে যাওয়ার উদ্যোগ নেবেন।

গ. নিবন্ধন নিশ্চিত করার জন্য সরকারি ও বেসরকারি উভয়ক্ষেত্রে গমনেচ্ছুদের পাসপোর্টের মেয়াদ যাচাই করে কমপক্ষে ৪ জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত মেয়াদযুক্ত পাসপোর্ট প্রস্তুত রাখতে হবে। যাদের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বা নতুন করে পাসপোর্ট করতে হবে, তারা অতীব জরুরিভিত্তিতে পাসপোর্ট করানোর পদক্ষেপ নেবেন।

৪. হজের সময় সৌদি কর্তৃপক্ষের নিয়ম মোতাবেক গ্রুপভিত্তিক চলাচল করতে হবে।

৫. হজের প্রতিটি ক্ষেত্রে সৌদি সরকার প্রবর্তিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

৬. কোভিড ভ্যাকসিন এবং ভ্যাকসিনের বুষ্টার ডোজ নেওয়ার সার্টিফিকেট হজের পুরো সফরে ব্যবহারের জন্য একাধিক কপি/ আইডি কার্ড আকারে লেমিনেট কপি প্রস্তুত রাখতে হবে।

৭. শুধু ভ্যাকসিন নেওয়ায় যথেষ্ট নয় ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে।

৮. হজে যাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে থাকতে হবে।

৯. কোনো ওষুধ সৌদি আরবে নেওয়ার প্রয়োজন থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থাপত্র সঙ্গে রাখতে হবে।

১০. হজযাত্রী, গাইড বা সংশ্লিষ্ট কেউ জর্দা, গুলসহ নেশাজাতীয় দ্রব্য সঙ্গে রাখতে পারবেন না।

১১. দেশে ফেরার সময় ৬০ হাজার সৌদি রিয়ালের অধিক নগদ অর্থ বা সমমূল্যের স্বর্ণালংকার বা মূল্যবান কোনো সামগ্রী বহন করলে যাত্রীকে সৌদির কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানাতে হবে এবং সেগুলো কেনার ইলেক্ট্রিক্যাল ভাউচার দেখাতে হবে।

১২. হজের বিষয়ে কোন তথ্য জানার জন্য হজ অফিস, ঢাকার কল সেন্টার ০৯৬০২৬৬৬৭০৭ নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে।

হজের বিষয়ে এরপরও কোন তথ্য জানার প্রয়োজন হলে হজ অণুবিভাগের ফোকাল পয়েন্ট উপসচিব (হজ-১) আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন মোবাইল নম্বর: ০১৭২০-২০৯৫৯৯, ই-মেইল: akm.shaheen@gmail.com এ যোগাযোগ করা যাবে।

Link copied!