হাজীগঞ্জে সংঘাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দেখা গেছে: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবর ২২, ২০২১, ০৭:৫৭ পিএম

হাজীগঞ্জে সংঘাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দেখা গেছে: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা এখন আস্তে আস্তে গর্তের মধ্য থেকে বিষাক্ত সাপের মতো বেরিয়ে আসছে। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে যাদেরকে সংঘাত করতে দেখা গেছে তারা সকলেই ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

শুক্রবার (২২ অক্টোবর) নয়াপল্টনে  বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দুস্থ্যদের মাঝে বস্ত্র ও খাবার বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় রিজভী আরও বলেন, এখন এগুলোকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য দৃষ্টি অন্যদিকে নেয়ার চেষ্টা করছে সরকার। বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে যে মামলা দিচ্ছেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা কি ওই স্পটে ছিলেন? বিএনপি নেতাকর্মীদের কি কেউ দেখেছে? তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছেন কেন? যুবদল ছাত্রদল নেতাদের গ্রেপ্তার করছেন কেন?  আপনাদের সোনার ছেলেরা তারা এই সংঘাতের সাথে জড়িত এটা গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে। 

রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, আমরা একটা ক্রান্তিকাল সময় অতিক্রম করছি আমার আপনার কোনো নিরাপত্তা নেই। কখন কিভাবে কে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগবে এটা বলা কঠিন।

তিনি বলেন, যুগ যুগ ধরে সমাজের শান্তি বিরাজমান। বিশেষ করে সাম্প্রদায়িক জনগোষ্ঠীর মধ্যে। এই শান্তি কারা নষ্ট করছেন?কারা বিঘ্ন ঘটাচ্ছেন? এটা তো হওয়ার কথা ছিলো না। জিয়াউর রহমানের আমলে তো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা শুনিনি। বেগম খালেদা জিয়ার আমলে তো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা শুনিনি?শেখ হাসিনার আমলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা শুনতে হয়। তাহলে নিশ্চয়ই এখানে কোন উদ্দেশ্য রয়েছে। তারা এই সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টি করে  তারা বলছেন আমরা দমন করছি। তাহলে তারা কি কাউকে খুশি করার জন্য এ কাজটি করছেন? 

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আজকে জনগণ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সুস্পষ্ট বাংলাদেশের যত সাম্প্রদায়িক হানাহানি হয়েছে তার সাথে আওয়ামী লীগ সরকার জড়িত। এটা অত্যন্ত পরিকল্পিত, এটা কৃত্রিম। তারা তাদের ষড়যন্ত্রের নীলনকশার মাধ্যমে এ কাজটি করছেন। কারণ তাদের ব্যর্থতা এতই বেশি সেই ব্যর্থতা তাদের আড়াল করতে হয়। সেই ব্যর্থতা আড়াল করার জন্যই তারা এই কাজগুলো করছেন।

আজকে অসময়ে বন্যা হচ্ছে জানিয়ে রিজভী বলেন, এই সময়ে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে। আজকে তিস্তা নদীর পানি তার ভারতের উজানে গজল ডোবা। সেইখানে বাঁধের সমস্ত কিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। যার কারনে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে। ফারাক্কা ব্যারেজের গেট খুলে দেয়া হয়েছে। কই আপনি তো (শেখ হাসিনা) এই ব্যাপারে কোন প্রতিবাদ করেননি। বাংলাদেশের নীলফামারি তলিয়ে যাচ্ছে। কুড়িগ্রাম, রংপুরসহ নিম্ন অঞ্চল এখন প্লাবিত। এটা আপনার নতজানু নীতির কারনেই হচ্ছে। আজকে বাংলাদেশের সরকার সাহস করে কিছু বলতে পারছে না বলেই বাংলাদেশের উপর যার যা ইচ্ছে তাই করছেন।

এই অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ,নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম,যুবদল নেতা খন্দকার এনামুল হক এনাম,স্বেচ্ছাসেবক দলের নাসির উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

Link copied!