‘এক চীন’ বিষয়ে বাংলাদেশের সমর্থন, উভয় পক্ষকে সংযমের আহবান

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

আগস্ট ৫, ২০২২, ০৪:২৪ এএম

‘এক চীন’ বিষয়ে বাংলাদেশের সমর্থন, উভয় পক্ষকে সংযমের আহবান

তাইওয়ান ইস্যুতে বাংলাদেশ ‘এক চীন’ নীতির প্রতি দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে  মতপার্থক্য নিরসন ও দু’পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহবান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে তাইওয়ান ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান পরিষ্কার করা হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, তাইওয়ান পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ। তাইওয়ান ইস্যুতে উত্তেজনা বাড়তে পারে এবং এই অঞ্চলে ও এর বাইরে শান্তি-স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে পারে এমন কোনো কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ‘এক চীন’ নীতির প্রতি তার দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে। একই সঙ্গে জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদের মতপার্থক্য নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে আহ্বান জানায়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বাংলাদেশের সমর্থন চেয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বিবৃতি দেন। চীনের দূতাবাসের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে পোস্ট করা ওই বিবৃতিতে লি জিমিং আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ অব্যাহতভাবে ‘এক চীন মতাদর্শ’ মেনে চলবে। তাইওয়ান প্রশ্নে চীনের আইনসম্মত ও ন্যায্য অবস্থান বুঝবে ও সমর্থন করবে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি রক্ষায় চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে।

ঢাকায় চীন দূতাবাসের দেওয়া বিবৃতিতে চীনের তীব্র বিরোধিতা উপেক্ষা করে মার্নি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের কঠোর সমালোচনা করা হয়।

ন্যান্সি পেলোসির এ সফরকে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং ‘এক চীন’ মতাদর্শ এবং চীন যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি যৌথ ইশতেহারের ধারার গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেন।

Link copied!