‘জাতিসংঘের পাঠানো তালিকায় থাকা ৭৬ জন আওয়ামী লীগ আমলে গুম হয়নি’

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

আগস্ট ৩১, ২০২২, ১২:৩৬ এএম

‘জাতিসংঘের পাঠানো তালিকায় থাকা ৭৬ জন আওয়ামী লীগ আমলে গুম হয়নি’

সরকারের কাছে পাঠানো জাতিসংঘের তালিকায় থাকা ৭৬ জন আওয়ামী লীগ  আমলে গুম হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “৭৬টি নামের তালিকা ২০-২২ বছর আগের ঘটনা। আওয়ামী লীগ তখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল না। কিন্তু এ সরকার কে দোষারোপ করা হয়।”

জাতিসংঘের তালিকায় থাকা ৭৬ জনের মধ্যে ১০ জনকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল এবং পালিয়ে থাকা যারা ফিরে এসেছে, তাদের কথা গণমাধ্যমে আসেনি উল্লেখ করে  শাহরিয়ার আলম বলেন, “এদের মধ্যে ২৮ জন ছিল দাগি আসামি। তারা পার্শ্ববর্তী কোনো রাষ্ট্র বা দূরবর্তী রাষ্ট্রে লুকিয়ে থাকে। সকলকেই খুজে বের করা যাবে, এমনটা আশা করা যায় না।”

সম্প্রতি ঢাকা সফর করে ফিরে গেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচলেট। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে তিনি ঢাকা সফরে এসেছিলেন। মিশেল ব্যাচলেট সফরে এলেও এটাকে ভিন্নভাবে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল অভিযোগ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা অব্যাহত মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে চলতো। এভাবে, বানোয়াট তথ্যে একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়। মিশেল ব্যাচেলেটকে তা স্বচোক্ষে দেখার সুযোগ তৈরি করা হয়েছিল।”

মিশেল ব্যাচলেটের সফর নিয়ে সুশীল সমাজ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ভূমিকার সমালোচনা করে শাহরিয়ার আলম বলেন, “মিশেল ব্যাচেলেট কোনো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দেখা করতে আসেননি। জাতিসংঘের সংস্থা কীভাবে চলে সে সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা নেই সুশীল সমাজ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর। তারা মিশেল ব্যাচলেটকে নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে বলেছিলেন।”

৯টি কনভেনশন নিয়ে সুশীল সমাজ কাজ করে না অভিযোগ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, “তারা শুধু হত্যা, গুম, খুন নিয়ে কথা বলে। অন্যান্য কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলে না।”এসময় তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের অনেক কিছু বলা আছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনতে এ সুশীল সমাজ কথা তো বলে না। শুধু আওয়ামী লীগকে বিরোধিতা করার কথা বলেই যাচ্ছেন।”

মিশেল ব্যাচলেটের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “নিজেরা জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন থেকে হাইকমিশনার বরাবর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে। এই সরকার এনগেজমেন্টে বিশ্বাস করে। দেশের গণমাধ্যমও প্রায়োরিটি এজেন্ডা ছাড়া অন্যান্য বিষয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেনি।”

Link copied!