‘সব আগুনে শেষ, এত লোন কীভাবে শোধ করবো’

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ৪, ২০২৩, ০৯:৫৩ পিএম

‘সব আগুনে শেষ, এত লোন কীভাবে শোধ করবো’

রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবাজারের বেশ কয়েকটি মার্কেটে লাগা ভয়াবহ আগুন অবশেষে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। মঙ্গলবার ভোর ৬টা ১০ মিনিটে লাগা আগুন সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটের দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে।

তবে আগুনে পুড়ে প্রায় পাঁচ হাজার দোকান। এতে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকে। বঙ্গবাজারে আগুন লাগার ঘটনায় ওমর ফারুক নামে এক ব্যবসায়ীর পাঁচটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সবকিছু হারিয়ে মার্কেটের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এসময় তাকে দুই হাত তুলে মোনাজাত করতে দেখা যায়।

ব্যবসায়ী ওমর ফারুক দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, “বঙ্গবাজার মার্কেটে আমার পাঁচটি দোকান রয়েছে। দোকানগুলোতে ঈদ উপলক্ষে পাঁচ কোটি টাকার মালামাল ছিল। সব আগুনে পুড়ে ছারখার। আমি এখন কি করবো? এত টাকার লোন কীভাবে পরিশোধ করবো।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মোট ৫০ টি ইউনিট কাজ করেছে। এজন্য রাজধানীর পাশ্ববর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকেও ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট যোগ দেয়। পাশাপাশি  সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর যৌথ দল, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, র‌্যাব, পুলিশ ও স্থানীয় জনগণ আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।

গুলিস্তানের বঙ্গবাজারের গোডাউন এলাকা থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ীরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজনের ভাষ্য, বঙ্গবাজারের দোকানগুলো কাঠ ও টিনের হওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে বঙ্গমার্কেটের দোকানদাররা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। আগুনে সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব ব্যবসায়ীরা আহাজারি করছেন। খবর পেয়ে আগে যারা ঘটনাস্থলে আসতে পেরেছেন তারা যে যার মতো করে দোকান থেকে কিছু কিছু জিনিস বের করে নিচ্ছেন। তবে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীরাই কোনও মালামাল বের করতে পারেননি বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,আগুনের পরপরই অনেক ব্যবসায়ী দোকানের মালামাল বের করে সামনের নিউ সেক্রেটারি সড়কে রাখতে শুরু করেন। একদিকে আগুন, অন্যদিকে মালামাল বের করার কারণে সামনের রাস্তায় মালামালের স্তূপ হয়ে যায়। ঘণ্টাখানেক জ্বলার পর সকাল ৭টার দিকে বঙ্গবাজারের একাংশ ধসে পড়ে। আর এতেই ঘটে বিপত্তি। রাস্তায় থাকা কাপড়ের স্তূপের মধ্যে আগুন ছড়ায়। এই আগুন পাশের নিউ সেক্রেটারি রোডের উল্টো দিকে থাকা বঙ্গ ইসলামীয়া মার্কেট ও বঙ্গ হোমিও মার্কেটেও ছড়িয়ে পড়ে।

Link copied!