ভারত-পাকিস্তানের সীমারেখার নাম ‘সীমা হায়দার’ এবং লম্বায় সাড়ে পাঁচ ফুট!

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩, ০৮:১১ পিএম

ভারত-পাকিস্তানের সীমারেখার নাম ‘সীমা হায়দার’ এবং লম্বায় সাড়ে পাঁচ ফুট!

ছবি: সংগৃহীত

পরীক্ষার খাতা যেনো শিক্ষার্থীদের ক্যানভাস। শিশু মনের হরেকরকম চিন্তা ফুটে ওঠে সেখানে। মাঝে মাঝেই সেসব পরীক্ষার খাতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেসব তৈরি করে আলোচনা সমালোচনা ও হাস্যরস। এবার ভারতের এমনই এক পরীক্ষার খাতার ছবি স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীর রসবোধকে ফুটিয়ে তুলেছে।

ভারতের রাজস্থানের ধোলপুরের এক স্কুলের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষায় প্রশ্ন এসেছিল, “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোন সীমানা আছে? সেই সীমানার দৈর্ঘ্য কত?”

রসিক ছাত্র সেই প্রশ্নের উত্তর লিখেছে, “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তের নাম সীমা হায়দার। আর দুই জাতির সীমার দৈর্ঘ্য সে লিখেছে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি।”

এ উত্তরপত্রের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। নানা মন্তব্য করছেন অনেকেই। কেউ কেউ বিষয়টি হাসির ছলে নিয়েছেন,আবার অনেকেই বিষয়টি ভালোভাবে নেননি।

কিন্তু কেন এমন রসিক জবাব দিল ওই ছাত্র? মূলত ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি স্মরণ করিয়ে দিয়েছে পুরনো এক ঘটনা। 

২০১৯ সাল থেকে অনলাইনে পাবজি গেম খেলতে গিয়ে পাকিস্তানের চার সন্তানের জননী সীমা হায়দারের পরিচয় হয় ভারতীয় নাগরিক শচীন মিনার সাথে। প্রথমবার তারা নেপালে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন।

এ বছরের ৪ জুলাই কোনো ভিসা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই সীমা চলে আসেন ভারতে প্রেমিক মিনার বাড়িতে। তবে এতে বাধা দেয় পুলিশ। অবৈধ অভিবাসনের অভিযোগে দুজনকেই আটক করে নেয় থানায়। ৭ জুলাই দুজন ছাড়া পান।

বর্তমানে পাকিস্তানি চার সন্তানসহ ভারতের নয়ডার রাবুপুরা এলাকায় শচীন মিনার সংসার করছেন সীমা হায়দার। সেই ঘটনা সেই সময় আলোচিত হয়েছিল ভারতসহ বিশ্বের নানা সংবাদমাধ্যমে। কয়েক মাস পর পরীক্ষার খাতার বদৌলতে আবারও চর্চায় এই প্রেমিক দম্পতি।

এদিকে, এই বিভিন্ন আলাপ আলোচনার মাঝেই সীমা জানিয়েছেন তিনি ভারতেই থাকতে চান। আর ফিরে যেতে চাননা পাকিস্তানে। 

ওদিকে, প্রশ্নের উত্তরের প্রেক্ষিতে যে টুইট রয়েছে, তা নিয়ে ব্যাপক হাসাহাসি শুরু হয়েছে। অনেকেই কমেন্ট করেছেন, ‘এরা হোয়াটসঅ্যাপ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া।’

আরেকজন কিছুটা বাহবা দিয়ে লেখেন, ‘এ রকম উদ্ভাবনী চিন্তার জন্য তাকে পুরষ্কার দেওয়া উচিৎ।’

আবার অনেকেই লিখেছেন, ‘যেইই লিখে থাকুন না কেন উত্তরটির জন্য তাঁকে বাড়তি নম্বর দেওয়া উচিত।’

Link copied!