ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বাড়িতে পাঁচ ফুট লম্বা একটি সাপ ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে এ ঘটনায় রীতিমতো হুলুস্থুল পড়ে যায়। নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে পড়তেই শুরু হয় তৎপরতা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বন্যপ্রাণ বিভাগে। পরে জানা যায়, সাপটি বিষধর ছিল না। তবে দিল্লির বুকে অমিত শাহর বাড়িতে সাপ ঢুকে যাওয়ার ঘটনায় বিস্মিত অনেকেই।
অমিত শাহের বাড়িতে নিরাপত্তাকর্মীদের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার,সংবাদ প্রতিদিনসহ একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, গায়ে ডোরাকাটা দাগ ছিল ওই সাপটির। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ির চত্বরে সাপটিকে দেখা যেতেই শোরগোল পড়ে যায়। পরে খবর পেয়ে বন্যপ্রাণি বিভাগের দুই কর্মী এসে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, পাঁচ ফুট দৈর্ঘ্যের ওই সাপটি নির্বিষ ঢোঁড়া প্রজাতির। যার পোশাকি নাম ‘এশিয়াটিক ওয়াটার স্নেক’ ।
বন্যপ্রাণি বিভাগের এক কর্মী জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ডোরাকাটা সাপটি চোখে পড়ে নিরাপত্তারক্ষীদের। খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিল্লির বাংলোর চত্বরে সাপ দেখে চমকে ওঠেন তাঁরা। নিরাপত্তারক্ষীদের ঘরের কাছে কাঠের পাটাতনের মধ্যে লুকিয়ে ছিল সাপটি। বন্যপ্রাণ বিভাগের কর্তার কথায়, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিরাপত্তা আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ তাঁরা নিজেরা কোনও হঠকারী সিদ্ধান্ত না নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের খবর দিয়েছেন। অনেকক্ষেত্রেই উত্তেজনা ও আতঙ্কের বশে নিজেরাই সাপকে মেরে ফেলে। তবে এক্ষেত্রে তেমনটা করা হয়নি।”
সাধারণত এই ধরনের সাপ সচরাচর পুকুর কিংবা ডোবার মতো ছোট জলাশয়েই দেখা যায়। কিন্তু ওই সাপ অমিত শাহের বাড়িতে ঢুকে পড়ায় জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইনে এই প্রজাতির সাপকে সংরক্ষণ করার কথা বলা হয়েছে। তাহলে দিল্লির মতো জনবহুল এলাকায় অবস্থিত বাংলোয় কীভাবে ঢুকে পড়ল সাপ? দিল্লি প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, বর্ষার মরশুমে দিল্লিতে এমনটা অস্বাভাবিক নয়। ইতিমধ্যেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এমন ৭০টি সাপকে উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।