বিপুল খরচ করে ঘটা করে উদ্বোধন করা হয়েছিল ১১৫ ফুট উঁচুতে আট ফুট দৈর্ঘ্যের ভাসমান সুইমিং পুলের। এ বার সেই বহু চর্চিত সুইমিং পুলই বন্ধ হতে চলেছে।
লন্ডনের সাউথ ব্যাঙ্কের বিলাসবহুল এলাকায় ভাসমান সুইমিং পুলটি গড়ে তোলা হয়েছে। তৈরি হওয়ার পর থেকেই এই সুইমিং পুল পর্যটকদের আকর্ষণ এবং চর্চার কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এখন সেটি বন্ধ করে দিতে চাইছেন। কেন?
তাঁরা জানাচ্ছেন, পুলের জল গরম রাখতে বিপুল বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে। বছরে এক কোটি ৫১ লক্ষ টাকা বিল মেটাতে হচ্ছে। যা তাঁদের পক্ষে কুলনো সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই এই পুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে তাঁদের
প্রসঙ্গত,দক্ষিন-পশ্চিম লন্ডনের অত্যন্ত বিলাসবহুল এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স এমব্যাসি গার্ডেনের ১০ম তলার উপর নির্মিত হয় বিশ্বের প্রথম স্কাই পুলটি। একেরসলি ও’ ক্যালাঘানির ইঞ্জিনিয়াররা এবং রেনলসের একুরিয়াম ডিজাইনারদের অত্যাধুনিক এই পুলটি নির্মাণ করেছে ‘‘অরূপ এসোসিয়েটস’’। সিডনির বিখ্যাত ‘ওপেরা হাউজ’ নির্মাণের পেছনেও ছিলেন এই আর্কিটেকচার প্রতিষ্ঠানটি
এই স্কাই পুলটি ৮ ইঞ্চি পুরু কাঁচের তৈরি, যা দুটি ভবনের ছাঁদকে একত্রিত করেছে। এতে সাঁতার কাটার সময় শূন্যে ভেসে বেরানোর অনুভুতি পাওয়া যায়। তবে উচ্চতাভীতি থাকলে এই অনুভুতি না নেওয়াই ভালো।
মাটি থেকে ১১৫ ফিট উপরে দুইটি ভবনের মাঝে তৈরি সুইমিং পুলটি ৪৬ ফুট দূরত্ব ঘুচিয়ে ভবন দুটির ছাঁদকে একত্রিত করেছে। বিশ্বের প্রথম এই ভাসমান পুল ৯০ ফুট লম্বা আর ১৯ ফুট চওড়া। ১০ ইঞ্চি গভীর পুলটি ৮ ইঞ্চি পুরু কাঁচের তৈরি। ভবনের ছাঁদ থেকে ধাপে ধাপে সিঁড়ি নেমে গেছে সুইমিং পুলটিতে। চলতি বছরের মধ্য জুনে সইমিং পুলটি ভবনের বাসিন্দাদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ১৪৮,০০০ লিটার পানিতে পূর্ণ এই স্বচ্ছ সুইমিং পুলটিতে সাঁতার সময় নিচে তাকালে শূন্যে ভেসে বেরানোর অনুভুতি পাওয়া যাবে। এই অনুভূতিকে আরও জাদুকরি করতে, আলোর কারসাজীতেও আনা হয়েছে ভিন্নতা। রয়েছে রুফটপ বার ও স্পার ব্যবস্থাও। তবে মধ্য গগনে ভেসে বেরানোর এই অভুতপূর্ণ অনুভুতি সকলের জন্য নয়। এই অনুভুতি নিতে পেরেছে শুধুমাত্র এমব্যাসি গার্ডেনের বাসিন্দারা।