একজন মানুষের স্বাভাবিক উচ্চতা কতো হয়? ৫ থেকে ৬ ফুটের মধ্যে। কখনো বা এর চেয়ে সামান্য বেশিও হতে পারে। কিন্তু সেটা যদি ৭ ফুট ছাড়িয়ে যায় তাহলে তাকে অনায়ানে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মানুষদের কাতারে ফেলে দেওয়া যেতে পারে।
তাই তুরস্কের রুমেইশা গেলগি ৭ ফুট ০.৭ ইঞ্চি উচ্চতা নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা নারীর রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছেন। কয়েকদিন আগেই গিনেস বুকে নাম উঠেছে ২৪ বছর বয়সী রুমেইশার।
তবে রেকর্ড সবসময় সুখকর হয়না। কখনো কখনো তা জীবনে দুঃখের কারণও হয়ে দাঁড়াতে পারে। রুমেইশার বেলায় তাইই হয়েছে। রুমেইশা জন্মলগ্ন থেকেই ‘উইভার সিন্ড্রোম’-এ আক্রান্ত। এটি এমন এক ধরনের বিরল জিনের রোগ, যার কারণে রোগাক্রান্ত ব্যক্তি অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকেন। রুমেইশাও বেড়ে উঠেছেন সেভাবেই।
অধিক লম্বা হওয়ায় হাঁটা চলায় বেশ অসুবিধে হয় রুমেইশার। চলাফেরায় বেশিরভাগ সময় হুইলচেয়ার ব্যবহার করেন। মাঝেমধ্যে ওয়াকারে ভর দিয়ে হাঁটারও চেষ্টা করেন।
রুমেইশা বলেন, ‘সমস্ত ধরনের অসুবিধাকে সুযোগে বদলে ফেলা সম্ভব। তবে তার জন্য নিজের বর্তমান অবস্থাকে মেনে নিতে হবে। নিজে কী পারো আর না-পারো, সেটাও জানা ভীষণ জরুরি।’
২০১৪ সালে রুমেইশার বয়স যখন ১৮, তখনও বিশ্বের সব চেয়ে লম্বা মেয়ে হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে তার নাম উঠেছিল।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের সব চেয়ে লম্বা পুরুষ সুলতান কোসেনও তুরস্কের বাসিন্দা। সুলতানের উচ্চতা ৮ ফুট ২.৮ ইঞ্চি।