সমকামীদের জন্যও বৈধ হলো সারোগেসি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জানুয়ারি ৫, ২০২২, ১০:০৯ পিএম

সমকামীদের জন্যও বৈধ হলো সারোগেসি

সমকামী দম্পতিরাও এবার সারোগেসির মাধ্যমে বাচ্চা নিতে পারবেন। ইসরায়েলে এবার থেকে এই নিয়ম চালু হলো। ছয়মাস আগে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া যুগান্তকারী রায়টি মঙ্গলবার থেকে কার্যকর করা হয়েছে।

বিবিসি’র খবরে বলা হয়, শুধুমাত্র স্বামী-স্ত্রীর যৌথ ইচ্ছায় সারোগেসি করা যেত। একক মায়েরাও সারোগেসি করতে পারতেন। কিন্তু সমকামী, ট্রান্সজেন্ডাররা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলেন। নতুন রায়ে চাইলে সবাই সারোগেসির মাধ্যমে বাচ্চা নিতে পারবেন।

সারোগেসির অর্থ হচ্চে-সন্তান ধারণের জন্য অন্য নারীর শরীর ব্যবহার করা।আইভিএফ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ কাজ করা হয়ে থাকে। বিশ্বের বহু দেশেই সারোগেসি নিষিদ্ধ হলেও  পশ্চিমা দেশগুলোতে দীর্ঘদিন ধরেই সারোগেসি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আলজাজিরার খবরে বলা হয়, সারোগেসির দাবিতে ইসরায়েলে দীর্ঘদিন ধরেই শক্তিশালী এলজিবিটিকিউ গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে।  অনেক গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনে অংশ নিয়েছে তারা। মধ্যপ্রাচ্যে এলজিবিটিকিউ অধিকারের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে ইসরায়েল। দেশটির সুপ্রিম কোর্টের নতুন রায়ে খুশি এখানকার এলজিবিটিকিউ গোষ্ঠী। দীর্ঘদিন ধরে এই অধিকারের জন্য লড়াই করে সফল হওয়ায় তার খুবই খুশি।

এর আগে, ইউরোপের দেশ  ফ্রান্সে সমকামী এবং একক নারীদের জন্য সন্তান নেওয়ার অধিকার বৈধ করা হলেও  সেখানে সারোগেসির কথা উল্লেখ ছিল না।

প্রসঙ্গত, সারোগেট গর্ভধারণের বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েলে ব্যাপক কড়াকড়ি থাকায় সমকামী দম্পতি এবং সিঙ্গেল পুরুষেরা এতদিন সন্তান নেয়ার জন্য অন্যান্য দেশকে বেছে নিতেন। এটি আইনের দৃষ্টিতে বৈষম্য বলে উল্লেখ করেছে। একারণে ইসরায়েলের প্রধান বিচারপতি এসথার হায়ুতের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির প্যানেল ঐক্যমতের ভিত্তিতে সমকামীদের জন্য সারোগেসি বৈধ করে যুগান্তগারী রায় ঘোষণা করেন।

সমকামী অধিকার সংগঠন এলজিবিটি'র সভাপতি গিলা পিয়ার ইসরায়েলের সংবাদপত্র ইনেটকে বলেন, ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। সবাইকে পিতৃত্ব ও মাতৃত্বের সুযোগ করে দিয়েছে ওই রায়।

Link copied!