টেকচাঁদ ঠাকুর শতাধিক বছর আগে লিখেছিলেন, ‘মদ খাওয়া বড় দায়, জাত রাখার কি উপায়’। বাঙালির মদ খাওয়ার ইতিহাস অনেক পুরনো। মদ নিয়ে বাংলা সাহিত্যে কম লেখা হয়নি। তারপদ রায়ের, ‘মদ খাওয়ার সময় আমি কোন রিস্ক নিই না’ সাহিত্য রসিকদের কাছে খুবই পরিচিত।
বাংলা সাহিত্যের এসব মহারথিদের মান রাখেতেই যেন পূজার ৫ দিনে প্রায় ১০০ কোটি টাকার মদ সাবাড় করে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা।
পশ্চিম বঙ্গের বাঙালি হিন্দুরা তাদের শারদীয়া দুর্গোৎসবের সময় মরসুমে মেজাজ রঙিন রাখতে কোটি কোটি টাকা জলে ঢেলেছে; রঙিন জলে। এমনটাই খবর রাজ্যটির আবগারি দফতর সূত্রের। পুজোর পাঁচদিন অর্থাৎ ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত প্রায় ১০০ কোটি টাকার মদ বিকিয়েছে বাংলায়।
পুজোর আগেই রাজ্যটির বিভিন্ন পানশালা ও মদের দোকানগুলো অতিরিক্ত সময় খোলা রাখার কথা নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল। অন্য়বার দশমীতে এসব দোকানে দোকান। ষষ্ঠী থেকে দশমী-টানা ৫ দিনই খোলা ছিল। এই পাঁচদিনই মদ বিক্রি ছাপিয়ে গিয়েছে আগের সব রের্কড। গতবছর বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৪৫ কোটি টাকার মদ। আবগারি দফতর সূত্রের খবর, এ বছর ৫ দিনে বিকিয়েছে প্রায় ১০০ কোটির মদ।
এর মধ্যে একাই কাঁপিয়ে দিয়েছে নবমী। দশমীতে বিসর্জনের আগে অনেকে মদ তুলে রাখেন। শেষ দিনে একটু বেশিই সুরা পানের সখও থাকে। তার ফল, নবমীতে প্রায় ২৯ কোটি টাকার বিক্রি হয়েছে। মদ বিক্রিতে এগিয়ে দুই মেদিনীপুর। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রায় ২৮ কোটি টাকার মদ বিকিয়েছে। সুরা থেকে সরকারের বিপুল আয় হয়। পুজোয় সেই ভাঁড়ার ভরালেন রাজ্যের সুরাপ্রেমীরা।