ওয়াকফ আইন পুনর্বিবেচনা করতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানাল বিএনপি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ৬, ২০২৫, ০৫:৪২ পিএম

ওয়াকফ আইন পুনর্বিবেচনা করতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানাল বিএনপি

ছবি: সংগৃহীত

আঞ্চলিক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে ভারতের পার্লামেন্টে পাস হওয়া মুসলিম ওয়াকফ আইন পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

রোববার, ০৬ এপ্রিল বিকালে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ।

এ সময় শঙ্কা প্রকাশ করে সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আঞ্চলিক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় না রাখলে তার প্রভাব পাশের দেশেও পড়তে পারে।’

ভারতীয় সংসদে মুসলিম ওয়াকফ আইন পাস করে সংখ্যালঘু মুসলমানদের অধিকারকে ক্ষুন্ন করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ওয়াকফ সম্পত্তি বিক্রি করা বা হস্তান্তর করা যায় না। তাই ভারতের বিশ কোটি মুসলমানের বিরুদ্ধে এই নতুন আইনের অপব্যবহারের সুযোগ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই এই শীর্ষ নেতা।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকারে হস্থক্ষেপের কারণে এবং বৈষম্যমূলক আচরণের ফলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে এ রকম কোনো পদক্ষেপ রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে গ্রহণ করা সমীচীন নয় বলে আমরা মনে করি। ভারতে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের এই জাতীয় বোর্ডে অথবা কোনো আইনী সংগঠনে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের কোনো অন্তর্ভুক্তি দেখা যায় না। সেক্ষেত্রে এই আইনটি একটি বৈষম্যমূলক আইন হিসাবে বিবেচিত হবে। নতুন আইনে পরিবর্তনগুলো শত শত বছর আগে প্রতিষ্ঠিত ওয়াক্ফ জমির উপর গড়া মসজিদ এবং অন্যান্য ইসলামী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবির্ষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলতে পারে। নতুন আইনে অমুসলিম সদস্যদের এই সম্পত্তিসমূহের ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে যে এখতিয়ার প্রদান করা হয়েছে তা মুসলিম নাগরিকদের ধর্মীয় অধিকারে সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল।

এ সময় তিনি বলেন, ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ‘ল’ বোর্ডের মতো সংগঠনগুলোর মতে এই আইন ইসলামি ওয়াক্ফ ব্যবস্থার মূল চেতনার পরিপন্থী। তাদের মতে ওয়াক্ফ বোর্ডের পরিচালনা মুসলমানদের দ্বারাই হওয়া উচিত। তারা একে মুসলিম নাগরিকদের ধর্মীয় অধিকারে সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল বলে অভিমত দিয়েছেন।’

সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভারত একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সকল ধর্মাবলম্বী নগরিকদের ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রের অভিভাবকত্বের ভূমিকাকে সমুন্নত রেখে উক্ত আইনটি ভারত সরকার পুনঃবিবেচনা করবে, আমরা এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আঞ্চলিক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে এই পদক্ষেপ একটি ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা মনে করি।

Link copied!