আগস্ট ১৬, ২০২৪, ০৬:০৯ এএম
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে সম্প্রতি উৎখাত হওয়া শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করে বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাতে এই কথা বলেন তিনি। এর আগে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঢাকা চলো লং মার্চ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা আসার পথে যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত মো. আমানতের নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এই উপদেষ্টা।
এদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মো. আমানতের নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নিহত মো. আমানত সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকার বাসিন্দা। ১৯৯৯ সালে এসএসসি পাসের পর নারায়ণগঞ্জ কলেজে পড়াশোনা করেন। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে আমানত নারায়ণগঞ্জ কলেজের ছাত্রদলের এজিএস নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের আন্দোলনে শুরুতেই অগ্রণী ভূমিকা রেখে ফেসবুকসহ রাজপথে সক্রিয় ছিলেন তিনি।
আমানতের নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, “স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের আন্দোলনে ঢাকায় যাওয়ার পথে নারায়ণগঞ্জের মো. আমানত যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। হাসপাতালের মর্গে তার লাশ পড়েছিল। স্বজনরা লাশ শনাক্ত করে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে আসেন। আমানতের মতো শহীদদের বিনিময়ে স্বৈরাচার মুক্ত নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি আমরা। তাদের এই ঋণ আমরা কোনওদিন ভুলবো না।”
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের নির্দেশে যাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এই হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সবাইকে চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করার আশ্বাস দেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম জানান, শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রে বসে বাংলাদেশের নির্বাচন করার জন্য ভারতকে চাপ দিতে বলেছেন। তিনি হয়তো ভুলে গেছেন বাংলাদেশ একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এদেশের নির্বাচন কবে কখন হবে সেটি এদেশের মানুষই ঠিক করবে।
আগামী রোববার থেকে স্কুল খোলার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, “যার যে কাজ সেটা তারাই করবে। সড়কের দায়িত্ব পালনের জন্য ট্রাফিক পুলিশকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে সব শিক্ষার্থী ভাইবোনদের ক্লাসে ফেরার অনুরোধ জানাচ্ছি।”