জুলাই ১৫, ২০২৪, ০৪:৫৮ পিএম
সরকারি চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে রাজধানীতে গণপদযাত্রা করে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এর বিপরীতে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে?”
এর জেরে মধ্যরাতেই বিক্ষোভ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় শ্লোগান ওঠে- ‘তুমি কে আমি কে- রাজাকার, রাজাকার’, ‘কে বলেছে কে বলেছে- সরকার সরকার’, ‘চাইতে গেলাম অধিকার- হয়ে গেলাম রাজাকার’।
তবে এই শ্লোগানের বিপরীতে আবারও মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আন্দোলনকারীদের তিনি ‘৭১’র মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন রোকেয়া হলের বিভীষিকাময় পরিস্থিতির বর্ণনা করেন। এ সময় রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীদের চেতনার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তিনি উল্লেখ করেন, “রোকয়া হলের মেয়েরা কোন চেতনা লালন করে? কাদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়?”
২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগ সভাপতি এসব প্রশ্ন তোলেন। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান তুলে ধরেন সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।
চলতি মাসের শুরু থেকেই কোটা ইস্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলে আসছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন তারা।