নিপুণ-জায়েদ কেউই সাধারণ সম্পাদকের আসনে বসতে পারবে না। জায়েদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিল্পী সমিতির আপিল বিভাগের দেয়া সিদ্ধান্তের স্থগিতাদেশ স্থগিত করা হয়। জায়েদের পক্ষে দেয়া হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ যার বিপরীতে নিপুণ চ্যালেঞ্জ করেছে এই সিদ্ধান্তের শুনানী হবে হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি। আপীল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এই নির্দেশনা পড়ে শোনান।
নির্বাচনের পরপরই নাটকীয়তা শুরু
২৮ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির নির্বাচন হওয়ার পর থেকেই নাটকীয়তা শুরু হয়। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয় ২৯ জানুয়ারি ভোরবেলা। শিল্পী সমিতির দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন অর রশিদের ঘোষণায় সভাপতি নির্বাচিত হয় নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন আর সাধারণ সম্পাদক পদে তৃতীয়বারের মতো বিজয়ী হয় জায়েদ খান। নির্বাচন চলাকালীন আরেক সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নিপুণ আকতার জায়েদের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ তোলেন।
নির্বাচনে জায়েদ খান বিজয়ী হওয়ার পর নিপুণ এই পদের বিপরীতে জায়েদের বিরুদ্ধে শিল্পী সমিতির আপিল বিভাগে অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে শিল্পী সমিতির আপিল বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান তদন্তের দায়িত্ব পান। সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে সোহানুর রহমান সোহান জায়েদের বিরুদ্ধে নিপুণের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে জায়েদের সাধারণ সম্পাদকের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে ৫ জানুয়ারি নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করে। ৬ জানুয়ারি শপথবাক্য পাঠের অনুষ্ঠানে কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ উপস্থিত থাকলেও শুধু মাত্র মিশা সওদাগর ব্যতীত প্যানেলের কেউ সেখানে উপস্থিত হয়নি।
৭ জানুয়ারি জায়েদ হাইকোর্টে শিল্পী সমিতির আপিল বিভাগের রায়ের বিপরীতে রিট করেন। সেই রিটের ভিত্তিতে হাইকোর্ট শিল্পী সমিতির আপীল বিভাগের রায়ের স্থগিতাদেশ দেন। ৮ তারিখ নিপুণ সেই রায়ের বিপরীতে স্থগিতাদেশের চ্যালেঞ্জ করে চেম্বার আদলতের স্মরণাপন্ন হন।