টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল ম্যাচে মাঠে নামার আগে আবু ধাবিতে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। ম্যাচগুলিতে তাদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ড। ১২ ও ১৪ অক্টোবর ম্যাচগুলি অনুষ্ঠিত হবে।
অবশ্য বাংলাদেশের মিশন শুরু হবে আরো আগেই। প্রস্তুতি ম্যাচের আগে বাংলাদেশ ওমানে পাঁচদিনের ক্যাম্প করবে। চারদিনই অনুশীলন করতে পারবে বাংলাদেশ। একদিন থাকা লাগবে রুম কোয়ারেন্টাইনে। বিশ্বকাপে অংশ নিতে ৩ অক্টোবর রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে উড়াল দেবে মাহমুদউল্লাহরা। ৪ অক্টোবর ওমানে পৌঁছে রুম কোয়ারেন্টাইন করবে।
৫ অক্টোবর প্রথম অনুশীলন করবে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। চারদিন টানা অনুশীলনের পর ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ দল যাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানেও বাংলাদেশ দলকে একদিনের কোয়ারেন্টাইন করতে হবে। ১১ অক্টোবরই দল ফিরবে অনুশীলনে। এরপর ১২ ও ১৪ অক্টোবর দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, তাসকিনরা।
১৫ অক্টোবর বাংলাদেশ ফিরে যাবে ওমানে। সেখানেই আসল মিশন শুরু বাংলাদেশের। এবার অবশ্য কোনো কোয়ারেন্টাইন লাগবে না ক্রিকেটারদের। বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ খেলতে হলে প্রথম পর্ব উতরাতে হবে বাংলাদেশকে। ১৭ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড। এরপর ১৯ ও ২১ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ওমান ও পাপুয়া নিউ গিনি।
বাছাইপর্ব উতরাতে পারলে পরের ধাপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ড এবং বাছাইপর্ব পার করা আরও একটি দল। ২৫ অক্টোবর শারজাহতে বাংলাদেশ আফগানিস্তান ম্যাচ। ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ গ্রুপ ‘এ’-র রানার্সআপ দল। ৩ নভেম্বর দুবাইয়ে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নিউ জিল্যান্ড। ৫ ও ৭ নভেম্বর বাংলাদেশ খেলবে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। ম্যাচগুলো হবে দুবাই ও শারজাতে।
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ একটি ম্যাচই জিতেছে, সেটাও ২০০৭ বিশ্বকাপে। এছাড়া সবগুলো ম্যাচই হেরেছে। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছে পাঁচটি। ১৯টিতেই হেরেছে। ফল পায়নি একটিতে। এবারের বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহর হাত ধরে হতশ্রী রেকর্ড পাল্টায় কিনা সেটাই দেখার।